DA Protest: মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন ৪০ হাজার বৃদ্ধি, ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা

রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বাড়ল বৃহস্পতিবার। প্রত্যেক বিধায়কের ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। কোষাগারে আর্থিক সংকটের মাঝেও পাঁচগুণ বেশি এই…

রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বাড়ল বৃহস্পতিবার। প্রত্যেক বিধায়কের ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। কোষাগারে আর্থিক সংকটের মাঝেও পাঁচগুণ বেশি এই বৃদ্ধি। বিধায়কদের বেতন ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে নতুন হল ৫০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। একধাক্কায় মন্ত্রী-বিধায়কদের ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে ডিএ আন্দোলনে বসা রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের পক্ষ থেকে।

কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তারা জানিয়েছেন, “দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাইনে পায় যে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়করা। তাঁদের আবার মাইনে বাড়ানো যায়। আর এদিকে বলা হচ্ছে, রাজ্যে নাকি ‘হাঁড়ির হাল’।’ কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, “রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ চাইলেই জানানো হয় ভাঁড়ার শূন্য। তাহলে কিন্তু মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বাড়ছে কীভাবে ?” তিনি জানান যে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের, খেটে-খাওয়া মানুষদের প্রাপ্য অর্থ তাঁরা পাননা। বাড়ে না মজুরি। কিন্তু তেলা মাথায় তেল ঠিক পড়ে।

সরকারি কর্মীদের একাংশ দাবি করেছেন যে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কর্মীদের জানিয়েছিলেন যে কর্মীদের জন্য বরাদ্দ বাবদ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য কোনও অর্থ বাকি নেই। দ্বিবেদী। সেক্ষেত্রে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে ৬৪ হাজার কোটি। বাকি ৯ হাজার কোটি টাকার হিসেব কোথায়, সে সম্পর্কে রাজ্য সরকার কোনও পরিষ্কার তথ্য সামনে আনেনি বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। গত ২২৪ দিন ধরে সরকারি কর্মীদের একাংশের ডিএ চেয়ে আন্দোলন করছেন। তারা অভিযোগ করছেন যে মন্ত্রী-বিধায়কদরে বেতন বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক আসনে স্থায়ী নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার।

উল্লেখ্য, বিধায়কদের বেতন ছিল ২১ হাজার টাকা এবং ভাতা ৬০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বিধায়করা পেতেন মোট ৮১ হাজার টাকা। সেখান থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধির পর বিধায়করা এবার থেকে পাবেন ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা। এই ঘোষণার পরই রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বেশ কিছু সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন।