কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা। গণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথমে চলছে গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং শেষে জেলাই পরিষদের। ৩৩৯ টি কেন্দ্রে গণনা চলছে।
এবার ভোটের গণনায় নিয়মভঙ্গের অভিযোগ আনলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। গণনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সেলিম। প্রশ্ন তুললেন যে বামদের পক্ষে দেওয়া ব্যালট পেপারগুলি, গণনার টেবিল পর্যন্ত কি পৌঁছতে পেরেছে। নাকি রাস্তায় লুটোপুটি খাচ্ছে সেগুলি, প্রশ্ন তুলেছেন মহম্মদ সেলিমের।
সেলিম বলেন, “এমএলএ-রা বসে আছেন গণনাকেন্দ্রে ! জেতা প্রার্থী, তাঁর সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না। শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছে, তারপরেও কেড়ে নিচ্ছে। ছিনতাই করে নিচ্ছে। সিপিআইএম যেখানে জিতছে, সেখানে রিকাউন্টিংয়ের নাম করে ৩ থেকে ৪ বার কাউন্টিং করা হচ্ছে।“
সেলিম আরও বলেন, “তারপরে ব্যালট সই করা- গোছা গোছা, যা যেখানে গুঁজে দিয়েছে ! বলা হয়েছিল, সই করা ছাড়া হবে না। সেইগুলিকে ডাউটফিল করে রেখে দিল। আবার সেন্ট্রাল টেবিলে বিডিও-র টেবিলে, তৃণমূল হারছে যখন দেখছে, তখন সেইগুলিকে গণনার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে সেসব করে পারছে না, সিপিআইএম-র ছাপ মারা, বামপন্থীদের ছাপ মারা ব্যালট জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। নর্দমায় ফেলে দিচ্ছে, কালি ছিটিয়ে দিচ্ছে।“
মহম্মদ সেলিম বলেন, “গণনাকেন্দ্রের বাইরে সিপিআইএমের ব্যালট পাওয়া যাচ্ছে। তৃণমূল প্রথম থেকে জানত, তারা হারবে, সেজন্য গোটা প্রক্রিয়াকে, পুলিশকে, নির্বাচন কমিশনকে এবং মস্তানকে ব্যবহার করে, এটাকে একটা প্রহসণে পরিণত করার চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষ কত ক্ষিপ্ত, কত বিরক্ত ,এবং তাদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন, বামফ্রন্টের নেতৃত্ব, সেটা আজকে প্রমাণিত হয়েছে।“