CPIM: শিক্ষক ধর্নামঞ্চ থেকে বাম হঁশিয়ারি ‘জেলে যেতে প্রস্তুত থাকুন ব্রাত্য’

স্বচ্ছতার সাথে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় থাকলেন চাকরি প্রার্থীরা। এদিন চাকরি প্রার্থীদের মঞ্চে উপস্থিত হন CPIM যুব নেতৃত্ব। ব্রাত্য বসুর উদ্দেশ্যে তারা বলেন, জেল যাত্রার…

Bratya Basu

স্বচ্ছতার সাথে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় থাকলেন চাকরি প্রার্থীরা। এদিন চাকরি প্রার্থীদের মঞ্চে উপস্থিত হন CPIM যুব নেতৃত্ব। ব্রাত্য বসুর উদ্দেশ্যে তারা বলেন, জেল যাত্রার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

  • বাম যুব নেতাদের হুঁশিয়ারির পর রাজনৈতিক মহল সরগরম
  • শিক্ষক ধর্ণামঞ্চ থেকে বাম নেতাদের অবস্থানকে সমর্থন

চাকরি প্রার্থীদের মঞ্চ থেকে বাম যুব নেতৃত্ব বলেন, তৃণমূলের আমলে চুরি হয়েছে বলেই আজ এই আন্দোলন। ব্রাত্য বসু প্রথমে যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তখনও নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। ২০১২ সালের নোটিফিকেশনে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ যে টেট হয়েছিল, সেখানে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল এবং উনিও জেলে যাবেন। ব্রাত্যকেও জেল যাত্রার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন বাম যুব নেতৃত্ব।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন আন্দোলন করলেই চাকরি নয়। চাকরি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।

শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই সরব হয়েছেন আন্দোলনকারী হবু শিক্ষকরা। তাঁদের কথায়, আমরা এতদিন ধরে একথাই বলে আসছি। কিন্তু মেধার ভিত্তিতে নিইয়োগ হয়েছে কী? আমরা আগে থেকেই বলে এসেছি টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে। এখন কোর্ট প্রমাণিত হওয়ার পর অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। কিন্তু সেটা পর্ষদ দিচ্ছে কই? সেটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরাও চাই যাতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়।

চাকরি প্রার্থীরা বলছেন আগামী দিনে কয়েক হাজার জন চাকরি হারাতে চলেছেন। একথা আমরা আগেই বলেছিলাম। এখন ইডি প্রায় ২ হাজার জনের ভুয়ো নিয়োগের কথা বলছেন। পর্ষদের তরফেও জানানো হচ্ছে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে। আসলে দুর্নীতির কারণেই বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্যরা।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আদালত যেভাবে বলবে, সেভাবে আমরা নিয়োগ করব। কিন্তু আমাদের নতুন নিয়োগও তো করতে হবে। অতীতের দিকে তাকিয়ে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে, তাঁর জন্য যদি সামনের কর্মপ্রক্রিয়া ব্যহত করে তাহলে নতুন প্রজন্মের কাছে আমরা কী উত্তর দেব? আমার মনে হয় বিরোধী দলের এখন সেটা দেখার সময় এসে গেছে। এভাবে যদি পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে থাকে, তাহলে সমাজে কী বার্তা যাচ্ছে? এর ফলে সমাজে নেগেটিভির জন্ম হয়।