PIL: সমবায় ব্যাঙ্কে ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ, হাইকোর্টে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা

দুর্নীতির ঘোলা জলে তৃ়ণমূল কংগ্রেস সরকার। এবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের (Arup Roy) নাম। তমলুক–ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠদের…

দুর্নীতির ঘোলা জলে তৃ়ণমূল কংগ্রেস সরকার। এবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের (Arup Roy) নাম। তমলুক–ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে (Scam) চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করা হয়। সেখানে নাম আছে মন্ত্রীর।

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা পেশ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানিয়েছেন, এমন কোনও দুর্নীতিই হয়নি।

মামলার অভিযোগপত্রে লেখা, ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও মোট ১৩৪ জন নিযুক্ত হয়েছেন। শূন্যপদের থেকে দ্বিগুন লোক নিয়োগ হয়েছে। মোট ২০৩৫ জন আবেদন করেছিলেন এবং ব্যাংকের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ফি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফি জমা দেওয়ার এই তালিকায়, ১০০টির বেশি নাম ফাঁকা।

আরও অভিযোগ, কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়া সমবায় ব্যাংকের চাকরিতে নিয়োগ করা আইনবিরুদ্ধ কাজ। কিন্তু সার্ভিস কমিশন ছাড়াই, নিয়োগ করতে পারবে ব্যাংক নিজে এই মর্মে দুবার অনুমোদন দিয়েছিলেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।

মামলায় অভিযোগ, এই চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায় ঘনিষ্ট সত্য সামন্তের বোন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপো। ব্যাংকের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতির ভাইপো। ব্যাংকের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিইও বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত প্রণয় কুমার চক্রবর্তীর ভাইপো। ব্যাঙ্কের সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো। অভিযোগ, মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অনেকের চাকরি। পরীক্ষা না দিয়েও অনেকের চাকরি।

অভিযোগ, চাকরির জন্য মোট ২০৩৫ জন আবেদন করেছিলেন। ২০১৯ সালে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ওই নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।