নূপুর শর্মা সহ উস্কানিদাতা বিজেপি নেতাদের গ্রেফতারের দাবি মমতার

হজরত মহম্মদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করায় নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। তাদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।…

হজরত মহম্মদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করায় নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। তাদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, আমি বিজেপির কিছু সর্বনাশা, দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতা-নেত্রীর সাম্প্রতিক জঘন্য, প্ররোচনামূলক, বিভেদমূলক ও ঘৃণাসর্বস্ব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। এমন মন্তব্য ও আচরণের ফলে শুধু হিংসাই ছড়ায় না, দেশের মন বিভক্ত হয়, দেশের শান্তি ও সংহতিও নষ্ট হয়। আমি জোরালোভাবে দাবী করছি, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে বিজেপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।

আরও একটি ট্যুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, একই সঙ্গে, এই ঘৃণ্য প্ররোচনা সত্ত্বেও, আমি আমার সমস্ত জাতি, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের সকল ভাই ও বোনদের কাছে সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত আনার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে নুপুর শর্মা, নবীন জিন্দাল, সাবা নাকভি, হিন্দু মহাসভার শাকুন পান্ডে, মৌলানা মুফতি নাদিম, সাদাব চৌহান সহ আরও অনেকের। অভিযোগ, স্যোশাল মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানোর কাজ করছেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে নুপুর শর্মাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেণ্ড করেছে বিজেপি। তাঁর মন্তব্যের জেরে আরব দুনিয়ার দেশগুলি প্রবল প্রতিবাদে সরব হয়েছে। কূটনৈতিকস্তরে তার মোকাবিলা করছে ভারত। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার তরফে এসেছে আত্মঘাতী হামলার হুমকি।