Explosive Mamata Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতির সম্পর্কে অবগত ছিলেন

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহুর্তে জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। অপসারিত করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের…

Image of Mamata Banerjee, the Chief Minister of West Bengal, standing in front of a microphone

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহুর্তে জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। অপসারিত করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে হাত মিলিয়েছে ইডি। প্রত্যেকদিন তৃণমূলের বিধায়ক থেকে নেতাদের নাম জড়াচ্ছে। মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

তিনি বলেন, কয়েকটা ছেলেমেয়ে বসে ছিল রাস্তায়। আমার সাথে দেখা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম তখন এদের কয়েকজনকে করে দিক। তখন আমাকে তখনকার শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, যে এদের নম্বর পারমিট করছে না। তাও আমি বলেছিলাম, আমি একটু বেশী বেড়ে খেলি আর কি। আমার একটু দয়া মায়া একটু বেশী। এইজন্যেও গালাগালিও বেশী খাই। আমি বললাম দিন না করে দিন না। বাচ্ছা বাচ্ছা ছেলে মেয়ে কি আর হবে! এই করে করে আমি কিন্তু বলেছিলাম।

এরপরেই বাম আমলের কথা তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বাম তারপরেও আপনারা জানেন অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে সিপিএম চলে গেলেও যে অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে, আমরা তো কারোর চাকরি খাইনি। তাঁরা নীচে বসে আছে গেটে এখনও। সিপিএম আমলের একটা খুঁজে পান তো আলমারি। একটা কাগজ, একটা কাগজ পাবেন না। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন। আমাদের আমলে কাগজটা আছে। ওদের আমলে কাগজ একটাও নেই। আমরা পাইনি। আমরা ফাইল পাইনি। আমরা আলমারি পাইনি। আমরা কিছু দেখতে পাইনি।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, বুদ্ধদেব বাবুর কথা মনে আছে চোরেদের মন্ত্রীসভায় থাকব না। বিনয় চৌধুরীর কথা মনে পড়ে? গভর্মেন্ট অফ দ্য কন্ট্রাক্টরস, গভর্মেন্ট ফর দ্য কন্ট্রাক্টরস, গভর্মেন্ট বাই দ্য কন্ট্রাক্টরস। আমার একটু একটু মনে পড়ে। কারণ, আমি মার খেতে খেতে এই জায়গায় উঠে এসেছি।

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বলেছিলেন, রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স। ভুল করাটাও একটা অধিকার। অশোক গঙ্গোপাধ্যায় তিনি একটি রায় দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন যদি দেখ ভুল হয়েছে, কেউ ভুল করে ফেলেছে তাহলে তোমরা ভুলটাকে শুধরে নাও। সিপিএমের আমলে বড় একটা স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারি হয়েছিল এবং উনি সেটাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। গাদা গাদা কমিটি রয়েছে সবটা আমাদের হাতে থাকে না।

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটুকু বলতে পারি, জাস্টিস যারা পায়নি, জাস্টিস তাঁরা আমাদের থেকেই পাবে। তবে পলিটিক্যাল কারণে নয়। কেউ কেউ হয়ে গেছেন পলিটিক্যাল কারণে আমিও খাবো না তুইও খাবিনা। ৮৯ হাজার ছেলেমেয়েদের চাকরির প্রসেস করতে সময় লাগে। সেই প্রসেস শুরু করে যদি তিন মাসে হয়ে যেত। এখন সেটা এক বছর লাগবে। তাঁর মানে চাকরি দেওয়াটা তো পিছিয়ে গেল। এটা করতে করতে চাকরির স্কোপ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি চাকরি দিতে চাই। কেউ কেউ মানুষ না খেতে পেলে ৫ টাকা দিতে যায় না। আর পিআইএল করে করে জীবনটাকে পিআইএল করে দিয়েছে। আপনি যাই করুন একটা পিআইএলে চলে যাচ্ছে। পিল খাওয়ারও গল্প রয়েছে। কখনও কখনও সাইলেন্স ইজ গোল্ডেন স্পিচ ইজ সিলভার।