Buddhadeb Bhattacharya: বাড়ি ফিরবেন বুদ্ধবাবু, চিকিৎসকরা নিলেন না কনসাল্টেশন ফি

পেশা চিকিৎসা। চিকিৎসার বিনিময়ে কনসল্টেশন ফি নেন চিকিৎসকরা। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) চিকিৎসার জন্য গঠিত উডল্যান্ডস বেসরকারি হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সেই…

Buddhadeb-bhattacharya2

পেশা চিকিৎসা। চিকিৎসার বিনিময়ে কনসল্টেশন ফি নেন চিকিৎসকরা। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) চিকিৎসার জন্য গঠিত উডল্যান্ডস বেসরকারি হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সেই ফি নিলেন না। উডল্যান্ডসে বুদ্ধবাবুর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মিটিয়ে দিচ্ছে তাঁর দল সিপিআইএম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচ নেওয়া হয়নি।

সিপিআইএম সূত্রে খবর, প্রাক্তন মু়খ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ১১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা দলের তরফে মেটানো হবে। বুদ্ধবাবুকে ছুটি দেওয়ার আগেই সব টাকা পরিষোধ করা হবে। উডল্যান্ডস সূত্রে খবর, চিকিৎসার খরচের একাংশ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। শারিরীক পরিস্থিতি ঠিক থাকলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বুধবার হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠানো হতে পারে।

   

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দ্রুত তাঁর বাড়ি পাম অ্যাভিনিউতে ফিরতে চান। তিনি বারবার চিকিৎসকদের সে কথা বলছেন। তবে চিকিৎসকরা ঝুঁকি নিতে নারাজ। কারন, সিওপিডি রোগী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নিমোনিয়া হয়েছিল। তিনি সংকটজনক ছিলেন। কঠিন পরিস্থিতি থেতে তাঁকে সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। এই সময় কোনওরকম ঝুঁকি বিপজ্জনক মোড় নিতে পারে। হাসপাতাল থেকে ছুটি মিললেও ঘরে তাঁর জন্য বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সমস্ত রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক। তাঁকে বিছানা থেকে তুলে হাঁটা-চলা করানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। মুখ দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা চলছে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে যে বাড়িতে থেকে ‘কেয়ার’-এ অভ্যস্ত করে তোলার জন্য বাড়ি থেকে বাইপ্যাপ যন্ত্র এনে হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফুসফুসে আর কোনও সংক্রমণ নেই। চেস্ট ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন চলছে বুদ্ধবাবুর বুদ্ধবাবুর শরীরে সমস্ত প্যারামিটার স্বাভাবিক।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধবাবু রবীন্দ্র সঙ্গীতে মগ্ন রয়েছেন। রবিবার হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুদ্ধবাবু তাঁর কেবিনে শুয়ে ‘শ্রাবণের ধারার মত পড়ুক ঝরে…’ গানটি শুনে নিজে সেই গানটির সাথে গলা মেলান। তিনি জলদি বাড়ি যেতে চাইছেন। শনিবার শেষ হয়েছে তাঁর অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স।