Madhyamik: প্রশ্নপত্র ফাঁস করা ২ ছাত্রের পরীক্ষা বাতিল, পরিচয় সামনে আনল পর্ষদ

কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার মধ্যেই আজ মাধ্যমিক শুরু হয়। তবে যাবতীয় সুরক্ষা বলয় ভেঙে প্রমাণিত হয় মাধ্যমিকের জন্য বজ্র আঁটুনি আসলে ফস্কা গেরো। প্রথম দিনেই ফাঁস…

কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার মধ্যেই আজ মাধ্যমিক শুরু হয়। তবে যাবতীয় সুরক্ষা বলয় ভেঙে প্রমাণিত হয় মাধ্যমিকের জন্য বজ্র আঁটুনি আসলে ফস্কা গেরো। প্রথম দিনেই ফাঁস হয়ে যায় মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। অভিযোগ,পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকজনের মোবাইলে পৌঁছে যায় প্রথম ভাষার প্রশ্নপত্র। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা হয়েছে।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ভাইরাল হয়ে যায় ফাঁস হওয়া সেই প্রশ্নপত্র। পরে মিলিয়ে দেখা হউ যে আসল প্রশ্নপত্র এবং ভাইরাল প্রশ্নপত্রের ছবি পুরো এক। এরপর রীতিমত শোরগোল পড়ে যায়। তৎপর হয়ে ওঠে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। পরীক্ষার শেষেই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি প্রকাশ্যে জানান যে কোথা থেকে কোন ছাত্ররা এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল।

পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, লখিমপুর ও ইংরেজবাজার দুই জায়গা থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বেরিয়েছিল। এক জন ন’ঘরিয়া হাইস্কুলের ছাত্র। আরেকজন চামাগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র। এই দুই ছাত্র প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেছিল। এক জনের সিট পড়েছিল ইংরেজবাজার ৩ এর রায়গ্রাম হাই স্কুল। আরেকজনের লখিমপুর ৬-এর বেদরাবাদ হাইস্কুলে সিট পড়েছিল।

পর্ষদ সভাপতি জানান যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বেরিয়ে পড়ার ২৫ মিনিটের মধ্যেই দুই ছাত্রকে ট্র্যাক করা হয়। তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষা বাতিল করে আমরা আনন্দ পাই না। তবে এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা।”

পর্ষদ সভাপতি আরও বললেন, “দয়া করে আর এমন কেউ করবেন না। শিক্ষকরা প্রফেসনাল নিরাপত্তার দায়িত্বে নন। তাদের হয়ে সাফাই গাইছি না। ১৬ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের বডি সার্চ ওইভাবে করা সম্ভব নয়। আমি শিক্ষকদের আরও কড়া নজরদারির আবেদন করব।”