দিনটা মোটেও ভালো গেল না শুভেন্দু অধিকারীর (BJP West Bengal)। ভরা সভাতে করা মন্তব্য থেকে পিছনে হঠতে হল (BJP West Bengal)। দলের (BJP West Bengal) মুখপাত্ররাও ঘুরিয়ে বিরোধিতা করলো তাঁর। আর এবার, তৃণমূলের শহীদ দিবসে যে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা, তা নিয়ে রাজ্য সভাপতি উল্টো সুরে গাইলেন। যা দেখে বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরের ফাটল আরও যেন বেশি করে চোখে পড়ছে রাজনৈতিক মহলের।
তৃণমূলের শহীদ দিবস একুশে জুলাইয়ের পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসাবে ওই দিনটিকে পালন করার ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে তাঁর নির্দেশ ছিল রাজ্যের প্রত্যেক থানার সামনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখানো হবে সেদিন। সেদিন মমতা যখন ধর্মতলার সভামঞ্চে বক্তব্য রাখবেন সেই একই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও পোড়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
BJP West Bengal: সৌমিত্রর নজরে ‘ব্যর্থ মুখ’ কে? কাকে সরানোর পক্ষে রায় বিষ্ণুপুরের সাংসদের!
কিন্তু এবার একুশে জুলাইয়ের বিক্ষোভ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠল সুকান্তর বক্তব্যে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি গণতন্ত্র হত্যা দিবস নিয়ে অনেকটাই ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ২১ থেকে ২৬ শে জুলাই অব্দি গোটা রাজ্যতে ‘গণতন্ত্র হত্যা সপ্তাহ’ পালন করা হবে। তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের পাল্টা নির্দিষ্ট কোন কর্মসূচি রাজ্য বিজেপির নেই। গোটা সপ্তাহেই কর্মসূচি রয়েছে। বিভিন্ন মণ্ডল বা জেলা তাদের সুবিধা বা পছন্দ মত নির্দিষ্ট দিন বেছে, সেই দিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করতেই পারে। কোনও একটি বিশেষ দিনেই করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা রাজ্য কমিটির সূত্রে নেই। এমনটাই তিনি তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই শাসক বিরোধী দলীয় কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতার মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ২০২১ সালের আগে প্রতিবছরই একুশে জুলাই তৃণমূলের ধর্মতলার সভামঞ্চে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এমনকি ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়ও অনলাইনে এই বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু এখন তিনি তৃণমূল ছেড়ে তৃণমূলের বিরোধী দলের দলনেতা।
মমতার কড়া সিদ্ধান্তেই জোগান বাড়িয়ে সস্তা হচ্ছে আলু ?
ঘটনাচক্রে সেই একুশে জুলাইকেই তিনি বেছে নিতে চেয়েছিলেন নিজের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য। লোকসভার পরে উপনির্বাচনে ও যথেষ্ট খারাপ ফলে দলের মধ্যে অনেকটা কোনঠাসা শুভেন্দু, মত রাজনৈতিক মহলের। ঘটনাচক্রে বিজেপির সভাতে সংখ্যালঘু নিয়ে কড়া বক্তব্য রেখেও ঢোক গিলতে হয়েছে তাকে। এমনকি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যও শুভেন্দুর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সাফাই দিয়েছেন। আর এরকম পরিস্থিতিতেই সুকান্তর এই মতামত শুভেন্দু কে আরও ব্যাক ফুটে ঠেলল বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত আগামী একুশে জুলাই বিরোধী দলনেতার রাজনৈতিক পদক্ষেপ কি হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।