Gangasagar: তৃণমূলের জন্যই ‘টিকতে’ পারল না শুভেন্দু

গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে গঠিত হওয়া কমিটিতে নেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর একে ঘিরেই ফের প্রকাশ্যে শাসক-বিরোধী তরজা। রাজ্যে হু হু…

গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে গঠিত হওয়া কমিটিতে নেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর একে ঘিরেই ফের প্রকাশ্যে শাসক-বিরোধী তরজা। রাজ্যে হু হু করে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ। গতকাল পর্যন্ত রাজ্যের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৯, ১৯৪। কলকাতার পাশাপাশি ভয় দেখাচ্ছে দুই ২৪ পরগনা হাওড়া ও হুগলি।

এছাড়া প্রশাসনের নির্দেশে একাধিক জায়গায় বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে দিনে দিনে বাড়ানো হচ্ছে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। করোনা আবহে রাজ্যের গঙ্গাসাগর মেলা করার সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভালো চোখে নেয়নি। রাজ্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি শিবির। তবে গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারির জন্য পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আর এই নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নাম।

 

মঙ্গলবার এই রায়ের সঙ্গে একগুচ্ছ নির্দেশও দিয়েছে হাই কোর্ট। সরাসরি না বললেও হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্যের শাসক শিবিরের মুখে ‘জয়’-এর হাসি ফুটেছে তা বলাই চলে।

রীতিমতো দাবানলের গতিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখা উচিত। এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। এর সঙ্গে আরও পাঁচটি মামলা হয়। সব মামলাগুলি একত্র করে হাই কোর্টে শুনানি হয়েছিল। শুনানির পর তিন সদস্যের এখটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেখানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি শুভেন্দুকে। আর এই ঘটনায় রাজ্যের অঙ্গুলিহেলন দেখতে পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন।

সেইসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এই সরকার শুধুমাত্র তৃণমূলের ভোটার, তৃণমূলের সমর্থক, তৃণমূল কর্মীদের জন্য কাজ করবে? এই অবস্থানের মানে কারো কাছে স্পষ্ট নয়। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারির কারণে গোটা মানব সম্প্রদায় বিপর্যস্ত, যখন করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, চিকিৎসক-বিজ্ঞানীদের বাইরে গিয়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তখন মহামান্য আদালতই চেয়েছিল রাজ্য সরকার এবং বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। কিন্তু তৃণমূল এক্ষেত্রে যে আচরণ করল, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”