BJP: পুলিশ চাইছিল জ্বালানো হোক, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন দিলীপ

বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের দাবি করা রাজ্য নেতারা এই ঘটনায় বিব্রত। কেউ বলছেন ষড়যন্ত্র। পরিস্থিতি আঁচ…

বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের দাবি করা রাজ্য নেতারা এই ঘটনায় বিব্রত। কেউ বলছেন ষড়যন্ত্র। পরিস্থিতি আঁচ করে বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ নামলেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

দিলীপ ঘোষ বলেন আগুন লাগার সময় পুলিশ কোথায় ছিল? যারা আগুন লাগাচ্ছিল, তারা তেল কোথা থেকে নিয়ে এলেন? পেট্রোল কোথা থেকে পেলেন? আসলে তারা তো বাইরের লোক। সেটা পুলিশের দেখার দায়িত্ব ছিল। আর যখন গাড়ি জ্বলছিল কোথায় ছিল পুলিশ? আমি বড়বাজার থেকে কলেজস্ট্রিট অবধি গেলাম সকলের সঙ্গে দেখা করতে করতে সব জায়গায় পুলিশ ছিল।

   

তিনি আরও বলেন, গাড়িটা জ্বালাচ্ছে, গাড়ির ড্রাইভার নেই। পুলিশ নেই। ঘটনাটা কী? পুলিশ চাইছিল জ্বালানো হোক, যে লোকগুলো জ্বালাচ্ছিল তাদেরকে ধরুক পুলিশ। কেন তাদের না ধরে খবর করা হচ্ছে? এর পিছনে চক্রান্ত ছিল।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন পুলিশের গাড়ি পুলিশ জ্বালিয়েছে অথবা তৃণমূলের কর্মীরা জ্বালিয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। পুলিশের গাড়ি পোড়ার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নবান্ন অভিযানে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এমজি রোড। দেখা যায়, কয়েকজন বিজেপি কর্মী গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে কাপড় পেঁচিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। গাড়ির মধ্যেই রাখা ছিল পুলিশের টুপি। সেই টুপিগুলিতেও আগুনপ লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন।

নবান্ন অভিযান ঘিরে হাওড়া ও কলকাতা ছিল সরগরম। এখনও অবধি ১৩৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৫৬ জন পুলিশ কর্মী ও ৩৬৩ জন বিজেপি কর্মী। মোট ৬ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে মারধরের অভিযোগে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনায় জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।