হিংসার হাল দেখতে বাংলায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম 

রাজ্যে পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে গ্রাম বাংলার পরিস্থিতি। পঞ্চায়েতের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে…

রাজ্যে পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে গ্রাম বাংলার পরিস্থিতি। পঞ্চায়েতের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। আসে মৃত্যুর খবর। ভাঙড় হয়ে ওঠে সংঘর্ষের হটস্পট।

গত ৮ জুলাই শনিবার ছিল এক দফায় ২২ টি জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট প্রক্রিয়ার আগে থেকেই শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচনের (১০ জুলাই) অব্যাহত থাকে সেই একই পরিস্থিতি। এবং গতকাল শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত গণনা এবং তাতেও ফের ঝরেছে প্রাণ। গতকাল রাতে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, মৃত আরও ৩। আজ গণনার দ্বিতীয় দিনে মৃতের সংখ্যা ৪৩। মনোনয়ন এর শুরু থেকে আজ অবধি (গত ৩৫ দিনে) রাজ্যে ভোটের বলি ৪৪!

এই আবহে বিজেপি-র তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সোমবার ঘোষণা করেন পঞ্চায়েত নির্বাচন-পরবর্তী সন্রাসের জন্য পশ্চিম বঙ্গে আসবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।

সোমবার বিকেল ৫ টা নাগাদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইটারে নোটিস শেয়ার করেন। সেই নোটিস থেকে জানা গিয়েছে যে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে থাকবে ৪ জন সদস্য এবং এই দল পৌঁছে যাবে সন্রাস-কবলিত এলাকায়। মূলত সেই জায়গায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যাবে যেখানে রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। ৪-সদস্যর দলে থাকবেন সাংসদ রবি শংকর প্রসাদ, সত্যপাল সিনহা, রাজদীপ রায় এবং রেখা বর্মা।

তৃণমূলের তরফে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোর বিরোধিতা করা হয়। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “মণিপুর নিয়ে বিজেপির কোন চিন্তা নেয়। ওঁদের বিভাজনের রাজনীতির জন্য প্রায় ১৪০ এর উপর মারা গয়েছেন। কিন্তু তারা ব্যস্ত বাংলায় দল পাঠাতে কারণ বাংলার মানুষ তাদের ২০২১ সালে পরাজিত করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের আসার কথা ঘোষণা করা হয়াছিল। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ। শুভেন্দু ফের রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করার কথা তোলেন।