Bengal SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত সরকারি আধিকারিকদের খুঁজছে গোয়েন্দারা

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Bengal SSC Scam) ভুরি ভুরি বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে ক্রমাগত৷ যার জেরে শয়ে শয়ে কর্মরতদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট৷

Bengal SSC Scam

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Bengal SSC Scam) ভুরি ভুরি বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে ক্রমাগত৷ যার জেরে শয়ে শয়ে কর্মরতদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ কখনও নম্বর কারচুপি, আবার কখনও সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার প্রমাণ হাতে নাতে ধরা পড়ছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে বারবার উঠে এসেছে গোটা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সরকারি আধিকারিকদের যুক্ত থাকার বিষয়ও৷ এবার সেদিকেও গুরুত্ব দিতে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যুক্ত, তার প্রমাণ মিলছে। আবার তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বহু প্রভাবশালী নেতাদেরও নাম উঠে আসতে শুরু করেছে। তাই বারবার প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও। নিয়োগ দুর্নীতি এই পাহাড় দেখেও কেন চুপ তাঁরা উঠছে প্রশ্ন।

চাকরি প্রার্থীদের তরফে অভিযোগ, শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। একইসঙ্গে অভিযোগ, শিক্ষা দফতরের একাংশ যুক্ত না হলে এত বড় দুর্নীতি সম্ভব নয়। সোমবার শান্তনুকে আদালতে পেশ করে ইডি জানিয়েছে প্রথমে নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১০০ কোটি মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন তা ৩৫০ কোটি বলে মনে করছেন তাঁরা।

এদিনেই গ্রুপ সি পদে ৩৪৭৮ জন আসল ওএমআর শিট এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটের নম্বর প্রকাশ করেছে কমিশন৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে ০ পাওয়ার পরেও অযোগ্যদের ৫৭ অবধি নম্বর বাড়িয়ে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ৩৪৭৮ জনের মধ্যে গরমিল রয়েছে ৩০৩০ জনের নম্বরে। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে ৮৪৭ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এখন নম্বরের তালিকা প্রকাশ হতেই সবটাই দুধ কা দুধ পানি কা পানি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রতিদিন যেমন শাসক দলের নেতাদের নাম উঠে আসছে, তেমনি উঠে আসছে বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেনের প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তদন্তকে বিভ্রান্ত করে টাকা অন্য রাজ্যে সরিয়ে দিচ্ছে কুন্তল। তাই দ্রুত দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ্যে আনতে না পারলে একাধিক তথ্যও বেহাত হতে পারে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।