আধাসেনার পশ্চিমবঙ্গ কোটার চাকরিতে বিপুল দুর্নীতির প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ

কেন্দ্রীয় আধাসেনায় (Paramilitary Forces) পশ্চিমবঙ্গ কোটায় ভর্তিতে বিপুল দুর্নীতির বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বাংলা পক্ষর (Bangla Pokkho) সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়

Bangla Pokkho Protests

কেন্দ্রীয় আধাসেনায় (Paramilitary Forces) পশ্চিমবঙ্গ কোটায় ভর্তিতে বিপুল দুর্নীতির বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বাংলা পক্ষর (Bangla Pokkho) সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। ইউপি বিহারের ক্রিমিনালরা হাজারে হাজারে কেন্দ্রীয় আধাসেনায় পশ্চিমবঙ্গ কোটায় ভর্তি হচ্ছে ভুয়ো ও জাল ডোমিসাইল দেখিয়ে।

এর ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ও সীমান্ত সুরক্ষা হুমকির মুখে কারণে বিশাল সংখ্যক ক্রিমিনাল এই পদগুলোয় ঢুকতে সচেষ্ট। মোটা মাইনের ৬০০০ চাকরি যাতে বাংলার ভূমিপুত্রদের থেকে বেহাত না হয়ে যায়, তাই যেমন পথে নেমে বহিরাগত ক্রিমিনালদের ধরপাকড় করা শুরু করেছে বাংলা পক্ষ, একই সঙ্গে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে এবং আদালতের দ্বারস্থ হবার প্রস্তুতি চলছে।

এই বিষয়ে বাংলা পক্ষ সরব হলেও বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দল নিশ্চুপ। যদিও আসাম ও ত্রিপুরায় এই এক পরীক্ষায় ইউপি বিহারের ক্রিমিনালদের ভুয়ো ডোমিসাইল বিষয়ে রাজপথ ও রাজনীতি উত্তাল এবং আসামে গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে চলছে সিআইডি তদন্ত।

পশ্চিমবঙ্গ কোটায় কেন্দ্রীয় আধাসেনায় ৬০০০ চাকরির জন্য কয়েক ধাপ পেরোনো প্রার্থীদের তালিকায় প্রায় ৭০% অবাঙালি দেখে সন্দেহ হয় বাংলার ভূমিপুত্র প্রার্থীদের। এর পরে ১৬ই জুলাই ২০২৩ স্বাস্থ্য পরীক্ষার আগের দিনের থেকে ফাঁস হতে থাকে বিরাট ষড়যন্ত্র। কল্যাণীতে বাংলা পক্ষ ও এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে সেইদিন সকালে ইউপির গোরক্ষপুর থেকে বাংলায় আসা এক বহিরাগত। যার মাধ্যমিক সার্টিফিকেটটিও ইউপির। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে কোচবিহারে। ১৭ই জুলাই মধ্যমগ্রামে বাংলা পক্ষর ১৫০ সদস্য বিএসএফ ক্যাম্পে পৌঁছনোর সকল পথে রাত ১টা থেকে অবস্থান নেয় এবং একের পর এক ইউপি, বিহার থেকে মাধ্যমিক পাশ করে পশ্চিমবঙ্গ কোটায় চাকরি দখল করতে উদ্যত অপরাধী ধরা পড়ে।

এক পর্যায় বিএসএফের উর্দিধারী কিছু কর্মী এসে বাংলা পক্ষর সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর থেকে স্পষ্ট যে ইউপি বিহারের ক্রিমিনালদের ধরা পড়া আটকাতে বেআইনিভাবে সচেষ্ট বিএসএফের ইউপি বিহার উৎসের কর্মীরা। দুর্গাপুর থেকে আসছে শত শত অভিযোগ। বাংলা পক্ষ সেখানে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে ১৯শে জুলাই খোদ বাংলার রাজধানী কলকাতার সেক্টর ফাইভে যেখানে বিহার থেকে আসা এই সব ভুয়ো ডোমিসাইল দুস্কৃতিরা বাঙালি জাতিকে অশ্রাব্য গালাগাল দিয়ে ও বাঙালি নারীদের ধর্ষণ করার হুমকি দিয়ে ভিডিও বানায় এবং নিজেদের বিহারের জেলার নাম বলে খোলা চ্যালেঞ্জ করে যে কেউ তাদের আটকাতে পারবে না। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।

বহিরাগত ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে বাংলা ও বাঙালির এই প্রতিরোধ বাংলা জুড়ে বিস্তৃত হচ্ছে। এর পরের ধাপে টার্গেট করা হবে সেই সব সরকারি অফিস যারা ভুয়ো ডোমিসাইল ও কাস্ট সার্টিফিকেট দিচ্ছে। বিশেষ করে পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া শহরাঞ্চল, উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলীর শিল্পাঞ্চল ও নদীয়ার কিছু এলাকায় গণহারে ইউপি বিহারের লোকেদের জন্য পশ্চিমবঙ্গর ভুয়ো ডোমিসাইল বানানোর সংগঠিত চক্র সক্রিয়। বাংলা পক্ষ এসকল বিষয়ে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।