মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার তথ্য দিতে যাচ্ছিলেন বলে দাবি ধৃত নুর আমিনের

এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীদের সঙ্গে ধৃত শেখ নুর আমিনের কথাবার্তায় জানা গিয়েছে, বেশ অসংলগ্নতা প্রকাশ পেয়েছে তার কথায়। সে বিভিন্ন রকমের কথা বলছে। গোটা ঘটনা তদন্ত…

এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীদের সঙ্গে ধৃত শেখ নুর আমিনের কথাবার্তায় জানা গিয়েছে, বেশ অসংলগ্নতা প্রকাশ পেয়েছে তার কথায়। সে বিভিন্ন রকমের কথা বলছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। তার আসল উদ্দেশ্য কি? কেন এই অস্ত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলিতে ঢোকার চেষ্টা? কেনও গাড়িতে পুলিশের ভুয়ো স্টিকের লাগিয়ে রাখা? এই সকল বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এবার উল্টো কথা নুরের মুখে। নুর আমিন দাবি করেছে যে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য ছিল তার কাছে। সেই খবরটাই মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জানাতে যাচ্ছিল বলেই পুলিশি জেরায় দাবি করে নুর আমিন। তবে কেন তার কাছে এত সংখ্যক অস্ত্র থাকবে। এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কলকাতা পুলিশের অন্দরমহলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার জন্য পুলিশের বোর্ড লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে নুর। এছাড়াও নিজেকে বিএসএফের ডিজি বলে পরিচয় দেন নুর আমিন। ধৃত শেখ নুর আমিনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

একুশের সমাবেশের আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত হয় নুর আমিন। তার আচরণ বিশ্লেষণ করছে কলকাতা পুলিশ। তার বক্তব্যে মিলছে অসঙ্গতি। ধৃতের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে।

চারিদিকে তখন ২১ জুলাইয়ের রব। গোটা রাজ্য থেকে বহু তৃণমূল কর্মীরা এসেছেন ধর্মতলার এই সমাবেশে। মুখ্যমন্ত্রী সমাবেশে পৌঁছানোর আগেই সশস্ত্র ওই ব্যক্তি ধরা পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলি যেখানে অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তা থাকে। সেখানেই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। ওই মুহূর্তে সন্দেহ হয় কলকাতা পুলিশের। তারপরেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় এবং পুরো গাড়ি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

জানা যায় গাড়ির মধ্যে থেকে ভোজালি, ছুরি, সঙ্গে একটি ব্যাগ যার মধ্যে থেকে মাদক সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এর সঙ্গেই পাওয়া যায় একাধিক আইডেন্টি কার্ড।