নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার পর এবার সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিকস লিমিটেড বা সেলও বিক্রি হয়ে যেতে চলেছে। বেশ কয়েকটি সংস্থা সেল কেনার জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে। বর্তমানে সেইসব দরপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিলগ্নীকরণ মন্ত্রক এই দরপত্র আহবান করেছিল।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বিনিয়োগ সংক্রান্ত দফতরের সচিব তুহিনকান্ত পান্ডে জানিয়েছেন, সেলের বিলগ্নীকরণ করার উদ্দেশ্যে সরকার দরপত্র প্রকাশ করেছিল। একাধিক সংস্থা এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে কিনতে আগ্রহ দেখিয়ে দরপত্র জমা দিয়েছে। বর্তমানে বিলগ্নীকরণ মন্ত্রক সেই সমস্ত দরপত্র খতিয়ে দেখছে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সেলকে সেই সংস্থার হাতেই তুলে দেবে যে সংস্থা ২০১৯ অর্থবর্ষে ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা লাভ করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্র শর্ত দিয়েছে, বেসরকারিকরণের তিন বছরের মধ্যে ওই সংস্থা সেলকে বিক্রি করতে পারবে না।
কিছুদিন আগেই এয়ার ইন্ডিয়াকে বেসরকারি সংস্থা টাটা গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে মোদি সরকার। এবার পালা সেলের। তবে এখানেই যে মোদি সরকার থেমে থাকবে তা নয়। একাধিক লাভজনক রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থাকেও বেসরকারিকরণ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে মোদি সরকার। আগামী দিনে জীবনবিমার মতো লাভজনক সংস্থাকেও বেসরকারিকরণ করা হবে বলে সূত্রের খবর। সেই লক্ষ্য পূরণে ইতিমধ্যেই একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ইতিমধ্যেই তিনি বিমায় বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য দরজা খুলে দিয়েছেন।
একাধিক লাভজনক সংস্থাকে মোদি সরকার যেভাবে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিরোধী রাজনীতিকরা। তাঁরা মনে করছেন, আগামী দিনে সব সরকারি সংস্থাই বেসরকারি হাতে চলে যাবে। ইতিমধ্যেই রেলের বিভিন্ন স্টেশনের দায়িত্ব বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি দেড়শতাধিক ট্রেনও চালানোর দায়িত্বও বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি করণের সর্বশেষ সংযোজন হতে চলেছে সেল।
ভারতের অন্যতম প্রাচীন সরকারি সংস্থা সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের শাহিবাবাদে এদের কারখানা। এই কারখানাতেই দেশের প্রথম সোলার সেল তৈরি হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে এই সংস্থা তৈরি করেছিল সোলার প্যানেল।