Bengal SSC Scam: শিক্ষক নিয়োগে ৩৫০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি, ডায়েরিতে বহু ‘চমকপ্রদ’ নাম

Bengal SSC Scam) তদন্ত অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। বাড়ছে প্রতারণার পরিমাণ। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি

Bengal SSC Scam

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Bengal SSC Scam) তদন্ত অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। বাড়ছে প্রতারণার পরিমাণ। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতকে বলেছে, দুর্নীতির অর্থের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে।

এই পরিমাণ ১১১ কোটি থেকে ২৫০ কোটিতে বেড়েছে এবং আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্নীতি পুরুলিয়ার ছোট পাহাড় থেকে এভারেস্টের চূড়া পর্যন্ত পৌঁছেছে। অভিযুক্তদের ডায়েরিতে কিছু চমকপ্রদ নাম পাওয়া গেছে, যা আদালতে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ইডি-র আইনজীবীরা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১১ দিনের জন্য ইডি-র হেফাজতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন, তিনি ৬ লাখ টাকা বেতন পেতেন। পারিবারিক সংস্থা একটি প্রতারণা।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

ইডির আইনজীবী বলেন- কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন সিম বিক্রেতা
ইডি জানিয়েছে যে ইডি আধিকারিকরা যখন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছেছিল, তখন তাঁর বাড়িতে দুজন সরকারী আধিকারিক ছিলেন। তারা কি করছিল? NIA বিচারপতির বাড়ির সামনে একটি PSO আছে। শান্তনুর বাড়ির সামনে ২টি পিএসও আছে। এ থেকেই বোঝা যায় তিনি কতটা প্রভাবশালী। ইডি-র কৌঁসুলি বলেছেন, ২০১৫ সালে, একজন সাধারণ মোবাইল সিম বিক্রেতা বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। এত টাকার সম্পদ এল কোথা থেকে? তিনি ২টি আইফোন ব্যবহার করেন। তাদের কাছ থেকে অনেক নথি, অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ড ছিল যারা চাকরি পেয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৩০০ জনের বাকি তালিকার মধ্যে কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে অধিদপ্তরকে।

অভিযুক্তদের ডায়েরিতে অনেক চমকপ্রদ নাম বেরিয়ে এসেছে- বললেন ইডি-র আইনজীবী
ইডি-র আইনজীবী আদালতকে আরও জানান, দুটি মোবাইলে ‘সোনার খনি’ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত কিছু তথ্য প্রকাশ্যে আদালতে প্রকাশ করা যাবে না। কেস ডায়েরিতে লেখা আছে। আদালতের কাছে ইডি-র আইনজীবীর দাবি, কেস ডায়েরিতে এমন নাম, এমন তথ্য আছে দেখে আপনি হতবাক হবেন। এ বিষয়ে শান্তনুর আইনজীবী বলেন, কেন তাকে ৬ দিন পর গ্রেফতার করা হলো? গ্রেপ্তারই যদি করতেই হয় তাহলে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই কেন করা হলো না?

এ বিষয়ে বিচারক বলেন, কবে গ্রেফতার করতে হবে তা বলার দরকার নেই। এটা এক দিনে হবে নাকি ৫০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী অফিসার বুঝবেন। আপনি যা বলতে চান তাই বলুন। বিষয়টি পিএমএলএ আইনের। এটা নিয়ে কথা বলুন। যে তথ্য পাওয়া গেছে, তদন্তে যা বেরিয়ে এসেছে তা কেস ডায়েরিতে থাকতে হবে।