Kolkata: সুদিন ফিরছে কলকাতার মানিকতলার বাসিন্দাদের, কী এমন নির্দেশ দিল উচ্চ-আদালত?

জট কাটার দিকে আরও এক ধাপ এগোল কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচন। অবশেষে ২০২১ সালে ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে মামলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ…

Calcutta High Court directs BJP leader Kalyan Chaubey to withdraw case for Maniktala by-election

জট কাটার দিকে আরও এক ধাপ এগোল কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচন। অবশেষে ২০২১ সালে ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে মামলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

২০২১ সালের ভোট মানিকতলা বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। কিন্তু, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন সাধনবাবু। ফলে ওই কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ে। ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোন বিধায়কের ইস্তফা এবং মৃত্যুর কারণে কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হলে সেখানে ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়া বাধ্যতামূলক।

   

কিন্তু সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর দু’বছরের বেশি অতিক্রান্ত হলেও মানিকতলায় উপনির্বাচন হয়নি। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। ফলে আটকে যায় এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তারপর মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়েছিল। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কল্যাণ।

কারণ তিনি হাইকোর্টে মামলা করলেও শুনানিতে বার বার মুলতবি চাইছিলেন। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়, দৈনিক শুনানি করে দ্রুত মামলার এর নিষ্পত্তি করতে হবে। ৩০ জুন সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারই মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল, হাইকোর্টে দায়ের হওয়া ‘ইলেকশন পিটিশন’ প্রত্যাহারের আবেদন জানান কল্যাণের আইনজীবী। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তাঁর মক্কেল এই মামলা তুলে নিতে চান। তার প্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করে আদালত।

শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার কল্যাণ চৌবের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।