বছর বাইশের এক নবীন শিক্ষিকার অভিযোগ, মাত্র পাঁচ দিন আগে স্কুলে যোগ দিয়েই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি স্কুলে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই শিক্ষিকাকে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অচেতন করা হয় এবং এরপর স্কুলেরই প্রধান শিক্ষিকা তাঁর সঙ্গে অবাঞ্ছিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
Uttar Pradesh: সাংবাদিক হত্য়া, জখম বিজেপি নেতা, চাঞ্চল্য যোগীরাজ্য
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে নিজের কক্ষে ডেকে নেন এবং কিছু পানীয়ের প্রস্তাব দেন। ওই শিক্ষিকা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেও সৌজন্যের খাতিরে পানীয়টি গ্রহণ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল ও অসুস্থ অনুভব করতে শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, মাদক মেশানো পানীয় গ্রহণের পর তিনি ধীরে ধীরে অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে প্রধান শিক্ষিকা তাঁর সঙ্গে অবাঞ্ছিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষিকা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সময়ে স্কুলে থাকা অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।
শুধু বাংলাই নয়, ব্যালট চুরি করে ভোট চলছে মার্কিন মুলুকে, কাঠগড়ায় ট্রাম্পের দল
এই ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও ব্যাপকভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে অভিভাবকরা মনে করছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দিক থেকেও এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এবং শিক্ষকের দায়িত্বশীল আচরণের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে এসেছে এই ঘটনার পর।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মীদের জন্যও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মাদক মেশানো পানীয় গ্রহণের বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয়, তবে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার ওপর ব্যাপক আঘাত হানবে।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকেও নজরদারি ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত; তাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সমাজে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দেয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মান ও নৈতিকতার ওপর এই ধরনের ঘটনা মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার জের, দেশে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চালাতে ভারতের দ্বারস্থ রাশিয়া
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে তিনি আইনি সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হচ্ছে এবং যথাযথ বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।