বৃন্দাবনের (Vrindavan) ঐতিহাসিক বাঁকেবিহারী মন্দিরে সম্প্রতি একটি ভাইরাল (Vrindavan viral) ভিডিও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ভক্তরা মন্দিরের দেওয়ালের হাতির-মূর্তি দিয়ে জল পড়ছে। আর আম জনতা সেই জল চরনামৃত ভেবে পান করছে। রীতিমতো হুড়োহুড়ি করে সেই জলপান করার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সেই জল আসলে এসির জল বলে জানা গিয়েছে। এই জলপানের ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
সাত বছরের মধ্যে প্রথম অধিবেশনে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় তীব্র অশান্তি
বিশেষ করে এই দৃশ্যে সাধারণ মানুষজন হুড়োহুড়ি করে সেই জলপান করছেন, যা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী পবিত্র ও আশীর্বাদস্বরূপ। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু এই ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মন্দিরের দেওয়ালে হাতির-মূর্তির মুখ দিয়ে যে জল পড়ছে তা আসলে এসি বা এয়ার কন্ডিশনারের নিষ্কাশিত জল। এই জল ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ এটি মেশিন থেকে নিষ্কাশিত এবং এতে অনেক ধরনের ধূলিকণা, রাসায়নিক, এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রিত থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু বহু মানুষ এই জলকে দেবতার আশীর্বাদ হিসাবে গ্রহণ করছেন, যা তাদের স্বাস্থ্যে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সীমান্তে নিঃশ্বাস ফেলছে উত্তর কোরিয়া! কিমের হাত থেকে ইউক্রেনকে বাঁচাতে আর্জি জেলেন্সস্কির
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসির নিষ্কাশিত জল খাওয়ার ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে সাধারণত সংক্রমণ, পেটের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, এমনকি বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও থাকে। এসি থেকে বের হওয়া জল ময়লা এবং মেশিনের ভেতরের রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার ফলে এটি পবিত্র তো নয়ই, বরং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ কেন এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করেনি এবং কেন তারা ভক্তদের মাঝে ভুল ধারণার জন্ম দেওয়া বন্ধ করেনি। ধর্মীয় স্থানগুলোতে আস্থা রাখা স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু সেই আস্থার সুযোগ নিয়ে যদি ভক্তদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হয়, তাহলে তা খুবই উদ্বেগজনক। এই ঘটনার মাধ্যমে মন্দির কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠছে। তাদের উচিত দ্রুত এই ভুল ধারণার অবসান ঘটানো এবং ভক্তদের সঠিক তথ্য প্রদান করা।
শাহকে ‘হেট মিনিস্টার’ বলে কটাক্ষ বৃন্দা কারাট
এই ঘটনার পর, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় স্থানে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার কথা বলা হচ্ছে, যাতে মানুষ এমন অনভিপ্রেত ও ক্ষতিকর কাজ থেকে দূরে থাকতে পারে।