Vaishno Devi: অতিমারি পরিস্থিতি সত্বেও কেন প্রবেশে অনুমতি? মর্মান্তিক মৃত্যুর পর উঠছে প্রশ্ন

বর্ষবরণের রাতেই জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবীর (Vaishno Devi) মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। শনিবারই মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির কারণেই এই দুঃখজনক…

বর্ষবরণের রাতেই জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবীর (Vaishno Devi) মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। শনিবারই মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির কারণেই এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী তা জানতে ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের এক তদন্তকারী দল (investigation team) গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।

তবে বিভিন্ন মহল থেকে বছরের প্রথম দিনের এই ঘটনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকে আঙুল উঠেছে। সকলেই অভিযোগ করেছেন, গোটা দেশজুড়ে করোনা (corona) ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। জম্মু-কাশ্মীরও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনকী, ভূস্বর্গেও ছড়িয়েছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। প্রশ্ন হল তার পরেও কিভাবে বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটি ৫০ হাজার ভক্তকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দিল? সাধারণত বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের ৩৫ হাজার পুণ্যার্থীকে যথাযথ জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু অতিরিক্ত এই পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি কিভাবে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ?

শুধু তাই নয়, মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল নিতান্তই ঢিলেঢালা। সে কারণেই দুই দল মানুষ যখন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে তখন মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে কাউকেই সেই বিবাদ মেটানোর জন্য এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষ গতকালের ঘটনার জন্য দুই দলের ঝগড়াকে দায়ী করলেও এটা মেনে নেওয়া যায় না।

সকলেই অভিযোগ করছেন, করোনাজনিত কারণে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এটা কিভাবে করা যেতে পারে?

উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি শনিবারের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা। লেফটেন্যান্ট জেনারেল তদন্ত উপর বিশেষ নজর রাখছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তারা কেউই পারবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।