Vaishno Devi: ‘বাবা, ফিরে এসো’, ছোটো মেয়ের কথায় রক্ষা পেয়েছিল সঞ্জীবদের পরিবার

মৃত্যু মিছিল দিয়ে হয়েছে বর্ষবরণ। বৈষ্ণোদেবীর (Vaishno Devi) মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন পূণ্যার্থী। ভাগ্যবান সঞ্জীব মালিকদের পরিবার। তাঁরা শুনেছিলেন তাঁদের মেয়ের কথা।…

মৃত্যু মিছিল দিয়ে হয়েছে বর্ষবরণ। বৈষ্ণোদেবীর (Vaishno Devi) মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন পূণ্যার্থী। ভাগ্যবান সঞ্জীব মালিকদের পরিবার। তাঁরা শুনেছিলেন তাঁদের মেয়ের কথা।

গাজিয়াবাদের রাজনগর এলাকায় থাকেন সঞ্জীব মালিক ও তাঁর ভাইয়ের পরিবার। অগুনতি পূণ্যার্থীদের মতো সেদিন গিয়েছিলেন দেবী দর্শনে। মন্দিরে প্রবেশের আগে দাঁড়িয়েছিলেন লাইনে। তখন তাঁরা জানতেন না আর কিছুক্ষণ পরেই মন্দির স্থলে ঝড়ে পড়বে একের পর এক প্রাণ। তাঁদেরও নাম থাকতে পারতো মৃত ব্যক্তিদের তালিকায়। সঞ্জীবরা সৌভাগ্যবান। ‘বাবা ফিরে এসো’, বলেছিল ছোটো মেয়েটা।

সংবাদমাধ্যমে বছর তেপ্পান্নর সঞ্জীব মালিক জানিয়েছেন, ‘স্ত্রী রুচিকা, ভাই অনুজ, তাঁর স্ত্রী বন্দনা এবং দুই পরিবারের সন্তান তানিয়া, রাহুল ও শিখরের সঙ্গে বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরে আমরা গিয়েছিলাম। রবিবার ভোর তিনটে নাগাদ আমরা দাঁড়িয়েছিলাম লাগেনি। পিলপিল করছিল লোকের মাথা। লোকে-লোকারণ্য মন্দির চত্বর। বিরক্ত হয়ে উঠেছিল আমার মেয়ে। ওর ভালো লাগছিল না।’

সঞ্জীবের বিশ্বাস ছিল নির্বিঘ্নেই তাঁরা দর্শন করতে পারবেন। যদিও, যত সময় এগোচ্ছিল ততই দেখা দিচ্ছিল বিশৃঙ্খলা। চলছিল ধাক্কাধাক্কি। তবুও পুজো দেওয়ার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অটল।

‘বাবা ভিড়ের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসছে, ফিরে এসো’, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে বলেছেন সঞ্জীব। মেয়ের কথা শুনে তাঁরা ফিরে এসেছিলেন পূণ্যার্থীদের লাইন থেকে৷ মিনিট ১৫ পরেই শুরু হয়েছিল তুমুল ধস্তাধস্তি, হুড়োহুড়ি। এরপর কী ঘটেছিল তা জানেন মালিক পরিবার৷ মেয়ের কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তাঁরা।