UP: ‘গণহত্যা’ দাবি করে প্রয়াগরাজে তৃণমূল প্রতিনিধিরা, যোগী রাজ্যে আতঙ্ক

বীরভূমের বগটুই গ্রামে সংখ্যালঘু গণহত্যা নিয়ে দেশ তোলপাড়। বিজেপি বারবার তৃণমূল কংগ্রেস কে নিশানা করে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাষণের দাবি করেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি উত্তর…

বীরভূমের বগটুই গ্রামে সংখ্যালঘু গণহত্যা নিয়ে দেশ তোলপাড়। বিজেপি বারবার তৃণমূল কংগ্রেস কে নিশানা করে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাষণের দাবি করেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি উত্তর প্রদেশের (UP) প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) একই পরিবারের ৫ জনকে খুন আসলে ‘গণহত্যা’। তবে তদন্তে ধর্ষণের মতো ঘটনার ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ। মৃতদের ময়না তদন্তের পর বাকিটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে প্রয়াগরাজ পুলিশ।

প্রয়াগরাজে এই খুনের ঘটনার জের টেনে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, বাংলায় যাঁরা ৩৫৫, ৩৫৬ ধারা জারির কথা বলেন, তাঁরা এবার কী বলবেন? বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কি এবার প্রয়াগরাজে যাবে? 

রবিবার প্রয়াগরাজে তৃণমূল কংগ্রেল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যা ও হাঁসখালি ধর্ষণ-পুড়িয়ে মারার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এসেছিল। তারপর দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর টিএমসি পাঠায় প্রতিনিধি দল। যদিও তাদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এবার উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে টিএমসির প্রতিনিধিরা কি ফের বাধা পাবেন, উঠছে এমন প্রশ্ন।

এর আগে উত্তর প্রদেশেই লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে পিষে মারার ঘটনায় সেখানে যেতে বাধা পেয়েছিল টি়এমসি প্রতিনিধি দল। যদিও তাদের পৌঁছনোর আগেই সিপিআইএমের কৃষকসভা নেতারা গোপনে ঢুকেছিলেন।

লখিমপুর খেরি ও দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীর মতো বাধা পাওয়ার কথা মাথায় রেখেই প্রয়াগরাজে যাচ্ছে টিএমসি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।

টিএমসির তরফে প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুন ‘গণহত্যা’ বলে অভিযোগের পর বিজেপি আরও হতচকিত। কারণ, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সরকার। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনে বারবার আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বিতর্ক চলছে। যদিও প্রয়াগরাজে এই খুনের পর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।

শনিবার সকালে প্রয়াগরাজের খেবরাজপুর গ্রামে শিশু সহ মোট পাঁচ জনকে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। নিহত সবাই একই পরিবারের। কী কারণে এমন খুন হলো তার সূত্র খুঁজছে পুলিশ। ঠিক গত সপ্তাহে প্রয়াগরাজে এরকমই একটি পরিবারের সবাইকে খুনের ঘটনা ঘটে। নবাবগঞ্জের খাগলপুরে চারজনকে খুন করা হয়।

পরপর দু সপ্তাহে দুটি পৃথক খুনের ঘটনায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর জেরে প্রয়াগরাজ প্রশাসন ও পুলিশ তীব্র সমালোচিত। এ রাজ্যে বিজেপি সরকারের আমলে আইনের শাসন নেই বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি।