দেশের ছোট-বড় সব বাঁধেরই নিয়মিত সুরক্ষা অডিট হয় জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সেচের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে গোটা দেশে একাধিক বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে কী নিয়মিত সুরক্ষা…

dams of the country

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সেচের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে গোটা দেশে একাধিক বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে কী নিয়মিত সুরক্ষা অডিট করা হয়? ইতিমধ্যেই যে সমস্ত বাঁধের সুরক্ষা অডিটের কাজ হয়ে গিয়েছে সেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হোক। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাঁধগুলির সংস্কারের বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে? কেরলের মুল্লাপেরিয়ার বাঁধের সংস্কারের জন্য কেরল সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্র কি কোন প্রস্তাব পেয়েছে? বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় জল সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু বলেন, দেশের প্রতিটি বাঁধেরই নিয়মিত সুরক্ষা অডিট করা হয়। প্রতিটি বাঁধ যে রাজ্যে অবস্থিত সেই রাজ্যের সরকারই বাঁধগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা দেখভাল করে। সব রাজ্যই নিয়মিত বর্ষার আগে এবং পরে বাঁধগুলি সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। বাঁধগুলির সুরক্ষায় যাতে কোনওরকম ত্রুটি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি রাজ্য পৃথকভাবে ড্যাম রিভিউ প্যানেল গঠন করেছে। বাঁধগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করার লক্ষ্যে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা দরকার। এই কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য সম্প্রতি রাজ্যসভায় বাঁধ সুরক্ষা বিল পাস হয়েছে।

   

গোটা দেশে ২২৭ টি বড়মাপের বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে কেন্দ্রীয় জনসম্পদ কমিশন। এই বাঁধগুলি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। কেরলের মুল্লাপেরিয়ার বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি দেখভাল করে। শুধু রক্ষণাবেক্ষণ নয়, ওই কমিটি মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ থেকে কেরল ও তামিলনাড়ু কোন রাজ্য কী পরিমাণ জল পাবে সে বিষয়টিও দেখে।