Tripura Election 2023: বিরোধী জোট জিতলে ফের ত্রিপুরায় উপজাতি মুখ্যমন্ত্রী?

বিজেপি নাকি বিরোধী বাম-কংগ্রেসেরের সমঝোতার জোট কার দখলে ত্রিপুরা? উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যটির বিধানসভা নির্বাচনের (Tripura Election 2023) প্রচারের একেবারে শেষ পর্বে এসে…

বিজেপি নাকি বিরোধী বাম-কংগ্রেসেরের সমঝোতার জোট কার দখলে ত্রিপুরা? উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যটির বিধানসভা নির্বাচনের (Tripura Election 2023) প্রচারের একেবারে শেষ পর্বে এসে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা পরিবর্তন হলে ফের এক উপজাতি জনগোষ্ঠির রাজনীতিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। যাঁকে ঘিরে এই আলোচনা সেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীর (Jitendra Chowdhury)  দাবি, এরকম আলোচনা দলে কিছু হয়নি। তবে আমার প্রাথমিক লক্ষ্য রাজ্যে ভোট লুঠ রুখে দেওয়া।

জীতেন্দ্র চৌধুরী যে বিরোধীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মুখ সেটি ভরা জনসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের জাতীয়স্তরের নেতা  ও ত্রিপুরায় প্রচারক ড. অজয় কুমার।

বাঙালি ও উপজাতি জনগোষ্ঠির মিশ্রিত রাজ্য ত্রিপুরায় ফের এক উপজাতি মুখ্যমন্ত্রী মুখ? এই চর্চা তীব্রতর হয়েছে রাজ্যে।

ত্রিপুরার রাজনৈতিক ইতিহাসে একমাত্র উপজাতি জনগোষ্ঠিভুক্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দশরথ দেববর্মা। তিনি ছিলেন এ রাজ্যে রাজতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কমিউনিস্ট নেতা। ত্রিপুরায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।

ভারতে অন্তর্ভুক্তির পর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও পরে পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হিসেবে  ত্রিপুরায় ১৯৬৩ সাল থেকে সর্বশেষ মোট ১১ জন মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। কখনও কংগ্রেস তো কখনও সিপিএমের রাজত্ব চলেছিল এ রাজ্যে। বামফ্রন্টের প্রথম মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এক বাঙালি নৃপেণ চক্রবর্তী। তবে টানা পঁচিশ বছরের বাম জমানা শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। সেবারই প্রথমবার উপজাতি গোষ্ঠির নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী হন দশরথ দেববর্মা। তাঁর উত্তরসুরী হিসেবে মানিক সরকার ছিলেন বাম জমানার শেষ মু়খ্যমন্ত্রী। ২০১৮ সালে বিজেপি এ রাজ্যে সরকার গড়ে। তাদের দুজন মু়খ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও ড. মানিক সাহা দুজনেই বাঙালি।

এবারের বিধানসভা ভোটের আগে সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন বিগত বাম জমানার কুড়ি বছরের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এর পরেই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীকে সেনাপতি করে বাম শিবির হাত মেলায় কংগ্রেসের সাথে। দুই দলের সমঝোতায় কংগ্রেসকে ১৩টি আসন ছেড়েছে বাম শিবির। ফলে এই বিরোধী জোটের বড় শরিক সিপিএম। সূত্রের খবর, সরাসরি ঘোষণা করা না হলেও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীই হলেন বিরোধীদের তরফে মু়খ্যমন্ত্রী মু়খ।

ত্রিপুরী উপজাতির জীতেন্দ্র চৌধুরী প্রাক্তন সাংসদ। তিনি বিধানসভা ভোটে দলের সাংগঠনিক নেতৃত্ব দানের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাব্রুম আসন থেকে।