Tripura Election 2023: গোপনে ইভিএম নিয়ে জওয়ানরা কোথায় যাচ্ছিল? জনতার ঘেরাও-হামলা

Tripura Election 2023: ভোট শেষে ইভিএম লুঠের চেষ্টা। একের পর এক ঘটনায় ত্রিপুরা সরগরম। ইভিএম লুঠের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

Tripura Election

Tripura Election 2023: ভোট শেষে ইভিএম লুঠের চেষ্টা। একের পর এক ঘটনায় ত্রিপুরা সরগরম। ইভিএম লুঠের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। আবার সিপিআইএমের বিরুদ্ধে ওই বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। ভোট মেশিনের ব্যাটারি খোলার চেষ্টার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের কর্মচারি আক্রান্ত হলেন। জনরোষে রক্তাক্ত একাধিক জওয়ান।

রাত যত বাড়ছে ততই একের পর এক বিধানসভা থেকে ইভিএম নিয়ে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে ইভিএম চুরির অভিযোগে সরগরম গোলাঘাটি এলাকা। জওয়ানদের ঘিরে রেখে দেন এলাকাবাসী। জনতা ও জওয়ানদের মধ্যে চলে ইভিএম নিয়ে টানা টানি। অভিযোগ, ইভিএম নষ্ট করে দিতে চাইছিল বিএসএফ জওয়ানরা। পরে ঘেরাও থেকে ইভিএম উদ্ধার করেন এলাকাবাসী।

খবর এসেছে রাতেই ধর্মনগরে ইভিএম নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেয় কিছু দুষ্কৃতি। তাদের তাড়া করেন নিরাপত্তা কর্মীরা। ইভিএম লুঠ করার চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ শাসকদল বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এই ঘটনায় জড়িত।

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজ্যের পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের অগ্নিপাশা বালকমনি স্কুল এলাকা। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর চড়াও হয় তিপ্রা মথা সমর্থকরা। খণ্ডযুদ্ধে হামলায় রক্তাক্ত ২ জওয়ান। বিক্ষিপ্ত হিংসা, ভোট লুঠের চেষ্টা ও ভোট লুঠেরাদের রুখে দিয়ে জনতার দৃষ্টান্ত যেমন ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে হয়েছে, ভোট শেষ হতেই ইভিএম লুঠের জন্য হামলা আরও একটি দিক।

দিনভর ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দানে একের পর এক বাধার খবর এসেছে। ভোট শেষে এসেছে ইভিএম লুঠের অভিযোগ। ইভিএম নিয়ে যাওয়ার সময় ধনপুর বিধানসভা কাঁঠালিয়ায় নির্বাচন কমিশনের গাড়িতেই হামলা করা হয়। হামলাকারীদের সাথে সিপিআইএম সমর্থকদের সংঘর্ষ বাদে। নিরাপত্তা রক্ষীদের উপস্থিতিতে ইভিএম লুঠের চেষ্টা রীতিমত আলোড়ন তৈরি করেছে।সংঘর্ষে জখম কয়েকজন।

ভোট শেষে সরগরম বনমালীপুর। এখানে আক্রান্ত হন কংগ্রেস সমর্থকরা। গুরুতর জখম কয়েকজন। বনমালীপুর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের খাস এলাকা বলে পরিচিত।

ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন ভোট দানের হার ৮১.১০ শতাংশ। ইভিএম বন্দি হয়েছে ত্রিপুরাবাসীর রায়। এই রায় রাম জোট নাকি বাম জোটের দিকে গেল সেই উত্তর মিলবে আগামী ২ মার্চ। এ রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি জোট। আর ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে লড়াইয়ে নেমেছে বাম জোট। রাম নাকি বাম কোন জোটের হাতে আগামী পাঁচ বছর ত্রিপুরাবাসী নিজেদের রায় জানালেন