Tripura: তুমুল হাতাহাতি সরকারে থাকা বিজেপি বিধায়কদের সিংহভাগ মুখ্যমন্ত্রীকে মানতে নারাজ

এক লহমায় সব পাল্টে গেল! যে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিজেপি ত্যাগ করে পুনরায় কংগ্রেসে ফিরেছেন সুদীপ রায় বর্মণ। সেই বিক্ষোভ এবার হাতাহাতিতে পরিণত হলো। আগরতলায় বিধায়ক…

Tripura Bjp mlas fighting each other in mla quarter at agartala

এক লহমায় সব পাল্টে গেল! যে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিজেপি ত্যাগ করে পুনরায় কংগ্রেসে ফিরেছেন সুদীপ রায় বর্মণ। সেই বিক্ষোভ এবার হাতাহাতিতে পরিণত হলো। আগরতলায় বিধায়ক আবাসনের হাতাহাতি এখন ত্রিপুরায়. (Tripura) বিরোধী দল সিপিআইএমের কাছে সরকার বিরোধী প্রচারের অন্যতম অস্ত্র।

সিপিআইএম ত্রিপুরা ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে লেখা হয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসে মন্ত্রী বিধায়ক এবং BJP-র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মারপিট। চরম বিশৃঙ্খলা, হাতাহাতি, ভাঙচুর! এরা ভাববে রাজ্যের মানুষের কথা?”

আর ত্রিপুরা বিজেপি তাদের অফিসিয়াল পেজে নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তবে দলের অভ্যন্তরে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। বিধায়করা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। বিধায়ক আবাসনে হাতাহাতির সময় একে অপরকে তেড়ে মারতে যাচ্ছেন। এই ছবি তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বাকিদেরকে সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য তাঁদের ডাকা হলেও নেওয়া হয়নি কোন মতামত। দলের থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন পরিষদীয় নেতা।

তবে এই বিতর্কের মাঝে নীরব সদ্য ক্ষমতা হারানো বিপ্লব দেবের ‘অঘোষিত মুখপাত্র’ ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। শনিবার সকালে তাঁর বাসভবনের সামনে রাজ্যের টেট উত্তীর্ণদের প্রবল বিক্ষোভ হয়। পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরায় টেট চাকরি প্রাপ্তরা সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাদের ঘেরাওয়ে পড়ার পর বেলা গড়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল তুঙ্গে।

মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিপ্লব দেব ও তাঁর মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণের সংঘাত তীব্র হয়। মন্ত্রীত্ব যায় সুদীপবাবুর। তিনি মাস খানেক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে বলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকারের পতন আসন্ন। বাকি বিধায়করা বিজেপি ত্যাগ করবেন।

শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করে বিজেপি পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইলেও বিধায়কদের হাতাহাতি বলে দিল নতুন মু়খ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকেও মানতে নারাজ অধিকাংশ।িবিধায়কদের দলত্যাগ আশঙ্কা আরও বাড়ল।