মঙ্গলবারে নজর রয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। বকেয়ার দাবিতে, আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তার আগেই গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দরবারে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। সকাল ১১টায় অমিত শাহর বাড়িতে এই বিশেষ বৈঠক হবে। সোমবারই অমিত শা-র নির্দেশে দিল্লি উড়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
সূত্রের খবর, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাবেন শুভেন্দু। বিকেলে কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। গতকালের পর মঙ্গলেও রাজধানীতে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এই সময়ে দিল্লিতে শুভেন্দুর একাধিক বৈঠক বঙ্গ রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা ভোটের জন্য রাজ্যে এসে টার্গেট বেঁধে দিয়ে গেছেন অমিত শাহ। এর আগে, জুলাই মাসে বাংলায় বিজেপির রাজনৈতিক রোডম্যাপ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করলেন অমিত শাহ। ২৪-এর লোকসভা ভোটে ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে চোখে পড়ার মতো ফল করেছিল বিজেপি। ২ থেকে একলাফে তাদের আসন বেড়ে হয়েছিল ১৮। প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু, তারপর থেকে একের পর এক নির্বাচনে, বঙ্গে বিজেপির ভোটের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। ২১-এর বিধানসভা ভোটে ২০০ আসনের টার্গেট নিয়ে ময়দানে নেমে, বিজেপি থামে ৭৭-এ। প্রাপ্ত ভোটের হার নেমে আসে ৩৮ শতাংশে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ২৪ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি। তারপরই জুলাইতে শাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু, সুকান্ত।
আজ দিল্লিতেই রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা। দিল্লিতে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগের দাবিতে ধর্না কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল। তখনই বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন ৬০ জন বিজেপি বিধায়ক। এরপরই অমিত শাহর নির্দেশে দিল্লিতে পৌঁছান শুভেন্দু অধিকারী।