ঐতিহাসিক চম্পারণের চরকা পার্কে ভেঙে দেওয়া হল গান্ধীর মূর্তি

ব্রিটিশদের ভারত থেকে তাড়াতে বিহারের চম্পারণ থেকে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী। সেই ঐতিহাসিক আন্দোলন স্থলে ছিল গান্ধীজীর একটি মূর্তি। রবিবার রাতে…

ব্রিটিশদের ভারত থেকে তাড়াতে বিহারের চম্পারণ থেকে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী। সেই ঐতিহাসিক আন্দোলন স্থলে ছিল গান্ধীজীর একটি মূর্তি। রবিবার রাতে সেই মূর্তি ভাঙচুর করল দুষ্কৃতীরা।

পূর্ব চম্পারাণের জেলাশাসক এস কপিল অশোক জানিয়েছেন, ইতিহাস প্রসিদ্ধ চম্পারণের চরকা পার্কে গান্ধীজীর একটি মূর্তি ছিল। কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। পার্ক থেকে কিছুটা দূরে একটি মাঠ থেকে পড়ে থাকা মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে দুষ্কৃতীদের ধরতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জেলাশাসক জানান।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে নতুন করে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে ঐতিহাসিক চরকা পার্কে লাগানো হবে সিসিটিভি। পাশাপাশি যত শীঘ্র সম্ভব জাতির জনকের ওই মূর্তি পুনর্নির্মাণ করে উপযুক্ত সম্মানের সঙ্গেই তা পার্কে প্রতিষ্ঠা করা হবে। গান্ধীজীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে অবিলম্বে এ কাজের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালে বিহারের চম্পারণ থেকেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন গান্ধীজী। স্বাভাবিকভাবেই গান্ধীজীর সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর চম্পারণ হয়ে উঠেছে ইতিহাসের একটি মাইলফলক। বাপুজির সেই ভূমিকা স্মরণে রাখতে চম্পারণের চরকা পার্কে গান্ধীজির একটি পূর্ণায়বব মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা সেই মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। মূর্তি ভাঙার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সকলেই অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।