Uttarkashi: উত্তরকাশীর ধসের তলায় থাকা শ্রমিকদের রক্তচাপ বাড়ছে, ফের বন্ধ উদ্ধার অভিযান

ফের বাধার মুখে পড়তে হল উদ্ধারকারী দলকে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই উত্তরকাশীর (Uttarkashi) টানেল বিপর্যয়ে উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য ধ্বংসস্তূপের মধ্য…

ফের বাধার মুখে পড়তে হল উদ্ধারকারী দলকে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই উত্তরকাশীর (Uttarkashi) টানেল বিপর্যয়ে উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে যে ইভাকুয়েশন পাইপ ঢোকানো হচ্ছিল কমে আসছিল তার দূরত্বও। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, যে যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মাটি কাটা হচ্ছিল তাতে ফের প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার জেরে আপাতত থমকে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। যে কাঠামোর উপর দাঁড় করিয়ে যন্ত্রটিকে চালানো হচ্ছিল তাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে।

উদ্ধারকাজে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে মার্কিন সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্সের।  আর্নল্ড ডিক্স বলেছেন, “আশা করেছিলাম বৃহস্পতিবারের মধ্যে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু ফের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। মেশিনের কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে খননকাজ আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে।”

   

উত্তরকাশীতে টানেল বিপর্যয়ের ১২দিন পেরিয়ে গেছে। উদ্ধারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাদের জন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল। সুড়ঙ্গের বাইরে রয়েছে অন্তত ৪০টা অ্যাম্বুল্যান্স, রয়েছে এয়ার লিফটের ব্যবস্থাও। আগে মনে করা হচ্ছিল, বুধবার রাতেই ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে রাতভর কাজ করেছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা লোহা এবং স্টিলের জালে ড্রিল মেশিন আটকে যাচ্ছিল বার বার। শেষপর্যন্ত গ্যাস কাটার এনে সেই জঞ্জাল সাফ করতে হয়। ভোররাতের দিক থেকে ফের শুরু হয় উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া। কমে আসছিল দূরত্ব, তখনই নতুন করে যান্ত্রিক ত্রুটি।

দুর্ঘটনাস্থলের ঠিক বাইরেই কন্ট্রোলরুম তৈরি হয়েছে। উদ্ধারের পরই শ্রমিকদের চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়, তার জন্য সেই কন্ট্রোলরুমের ভিতরেই আট শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সবসময় থাকছেন ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দল। তাছাড়া অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন মাস্ক, স্ট্রেচার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, রক্তচাপ স্বাভাবিক করার যন্ত্রও রয়েছে কন্ট্রোলরুমে।