পাঞ্জাব নির্বাচনে নতুন রেকর্ড শিরোমনি অকালি দলের প্রার্থীর

আর কয়েকদিন পরেই পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ্যের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিরোমনি অকালি দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদল। তিনি যদি এবারের নির্বাচনে…

আর কয়েকদিন পরেই পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ্যের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিরোমনি অকালি দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদল। তিনি যদি এবারের নির্বাচনে লড়াই করেন তবে বাদল এক নতুন রেকর্ডের অধিকারী হবেন।

এই মুহূর্তে প্রকাশ সিং বাদলের বয়স ৯৪। এবার যদি তিনি পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন, তবে তিনি হবেন দেশের প্রবীণতম প্রার্থী। এর আগে দেশের প্রবীণতম প্রার্থীর রেকর্ডটি ছিল কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভিএস অচ্যুতানন্দনের দখলে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যখন লড়াই করেছিলেন সে সময় তার বয়স ছিল ৯২। গত পাঁচ দশক ধরে বাদল অকালি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাঞ্জাবের রাজনীতির অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী তিনি। কালের নিয়মে বয়স বাড়লেও পাঞ্জাববাসীর কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা আজও অক্ষুণ্ণ।

বাদলের সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতেই শিরোমনি অকালি দল তাঁকে নির্বাচনের ময়দানে নামাতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে শিরোমনি অকালি দল তার জমি হারিয়েছে। মূলত আম আদমি পার্টির কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এই দল। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবে আপ ২০ টি আসন পেলেও স্যাড পেয়েছিল মাত্র ১৫ টি। তাই চলতি বছরে অকালি দল আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। সে কারণেই তারা ৯৪ বছরের বাদলকে নির্বাচনে ব্যবহার করতে চাইছে। বাদল অবশ্য জানিয়েছিলেন তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না। কিন্তু দলের অনুরোধেই তিনি ফের নির্বাচনে লড়তে রাজি হয়েছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বাদলের নির্বাচনী রেকর্ডও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। তিনি একটানা ১০বার বিজয়ী হয়েছেন। ১৯৫৭ সালে প্রথম নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। একমাত্র ১৯৬৭ সালের হরচরণ সিং ব্রারের কাছে সামান্য ব্যবধানে ভোটে হেরে ছিলেন তিনি।