Black Money: পাঠান-জওয়ানের সাথে পাঙ্গা কংগ্রেস সাংসদের ‘৫০০ কোটি’ কালো টাকা

টাকা আর টাকা। অজস্র মূদ্রা। রাশিরাশি হুন্ডি। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর একের পর এক ডেরায় এমনই মিলছে। অভিযান চলছে ওড়িশাতেও। কালো টাকার (Black Money).পরিমাণ…

Black money

টাকা আর টাকা। অজস্র মূদ্রা। রাশিরাশি হুন্ডি। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর একের পর এক ডেরায় এমনই মিলছে। অভিযান চলছে ওড়িশাতেও। কালো টাকার (Black Money).পরিমাণ কত? আয়কর বিভাগের ইঙ্গিত ৫০০ কোটি ছাড়াতে পারে। শনি-রবি ছুটি থাকার পর সোমবার সকাল থেকে গণনা চলছে।

Business Today জানাচ্ছে, ৩ ৩টি ব্যাঙ্কের ৫০০ জন অফিসার ৪০টি মেশিনে টাকা গুণছেন। ১৭৬টি কালো টাকার থলি মিলেছে। আরও মিলতে পারে বলে মনে করছে আয়কর বিভাগ। কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর পরিবার মদ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা বেশিরভাগই ওড়িশার বৌধ ডিস্টিলারি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে মিলেছে।

আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে অভিযান চলছে। রবিবার পর্যন্ত ৩৫১ কোটি গণনা হয়েছে। ৪০০ কোটি ছাড়িয়ে এই কালো টাকার পরিমাণ ৫০০ কোটি বা তারও বেশি হতে পারে। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর জমানো কালো টাকা বাজেয়াপ্ত কোনোও একক সংস্থার অভিযানের ক্ষেত্রে সর্বাধিক।

ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহু। ফলে কংগ্রেস প্রবল সমালোচিত। সাংসদের থেকে কংগ্রেস দূরত্ব রাখছে। এআইসিসি জেনারেল সেক্রেটারি কমিউনিকেশনস জয়রাম রমেশ এক্স পোস্টে বলেছেন। “ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কোনভাবেই এমপি ধীরাজ সাহুর ব্যবসার সাথে যুক্ত নয়। শুধুমাত্র তিনিই ব্যাখ্যা করতে পারেন, এবং ব্যাখ্যা করা উচিত, কিভাবে তার সম্পত্তি থেকে আয়কর কর্তৃপক্ষের দ্বারা বিপুল পরিমাণ নগদ বের করা হয়েছে”। আর বিজেপির তরফে চলছে লাগাতার কটাক্ষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, প্রতিটি পয়সা জনগণের কাছে ফেরত দিতে হবে। “দেশবাসীর উচিত এই নোটের স্তূপের দিকে নজর দেওয়া এবং তারপরে তাদের নেতাদের সৎ ‘বক্তৃতা’ শোনা উচিত… জনগণের কাছ থেকে যা কিছু লুট করা হয়েছে, প্রতিটি পয়সা ফেরত দিতে হবে, এটি মোদীর গ্যারান্টি”।