Sikkim: সিকিমে ফিনিশ বিজেপি, ফের ক্ষমতায় মোদী ঘনিষ্ঠ ‘মধ্য বাম’ প্রেম সিং

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: রাজনৈতিক নীতি ‘মধ্য বামপন্থা’ এমনই দলের হাতে সিকিমবাসী তাদের রাজ্যের ক্ষমতা রেখে দিলেন। পশ্চিমবঙ্গের অতি ঘনিষ্ঠ এই রাজ্যে (Sikkim) পরপর দুবার ক্ষমতায় সিকিম…

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: রাজনৈতিক নীতি ‘মধ্য বামপন্থা’ এমনই দলের হাতে সিকিমবাসী তাদের রাজ্যের ক্ষমতা রেখে দিলেন। পশ্চিমবঙ্গের অতি ঘনিষ্ঠ এই রাজ্যে (Sikkim) পরপর দুবার ক্ষমতায় সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা (SKM)। এই দলটির রাজনৈতিক নীতি মধ্য বাম হলেও মোদীর বিশেষ ঘনিষ্ঠ। এমনই বৈপরীত্য নিয়ে চলেছেন প্রেম সিং।

বিধানসভা নির্বাচনে সিকিমে লড়াই হয়েছে সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা (SKM), BJP ও সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (SDF)-এর মধ্যে। বিজেপিকে শূন্য করেছেন সিকিমবাসী। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, বিজেপি এ রাজ্যে দনীয় পতাকা নিয়ে কিছু করতে না পারলেও ক্ষমতায় থাকা SKM এর ঘনিষ্ঠ হয়েই ক্ষমতার চাবিকাঠি নিয়ে রাখল। 

   

India Today Ne জানাচ্ছে সিকিম বিধানসভার মোট আসন ৩২টি। SKM ৩১টি জয়ী। SDF ১টিতে জয়ী। বিজেপি খাতা খুলতে পারল না।

চিন, নেপাল ও ভুটান এই ত্রিদেশীয় সীমান্তে ঘেরা সিকিমের রাজনীতি বরাবরই নীরব। এতটাই নীরব যে নিকটস্থ শিলিগুড়িবাসীর কাছেও সিকিমের ভোট তেমন আলোচিত হয়না। তবে পর্যটন ব্যবসা ও প্রতিরক্ষা ইস্যুতে সিকিম তীব্র আলোচিত।

সিকিমের আলোচিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পবন কুমার চামলিং। সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (SDF) প্রধান চামলিং একটানা ২৪ বছর ১৬৫দিন মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে দেশে নজির গড়েছেন। তিনি জ্যোতি বসুর নজির ( ২৩ বছর ১৩৭দিন) ভেঙে  দেশের মধ্যে সর্বাধিক সময়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রী। আরও একটি কারণে চামলিং ছিলেন আলোচিত। তিনি সিকিমের ফুল ও পর্যটন ব্যবসায় জোয়ার এসেছিলেন। কার্যত তাঁর হাতেই সিকিমের অর্থনীতি হয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

রাজতন্ত্র নিয়ন্ত্রিত ‘স্বাধীন দেশ’ হিসেবে ১৯৭৫ সালে সিকিমের ক্ষমতার অবলুপ্তি হয়। ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় সিকিম। পঁচাত্তর পরবর্তী সিকিমে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে সিকিমের রাজনীতি চলে গেছিল চামলিং নিয়ন্ত্রিত SDF এর দখলে। ২০১৯ সালে নীরবেই পরিবর্তন হয়েছিল সিকিমে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসে SKM দল। এ রাজ্যবাসী ধীর লয়ে সরকার চলার রীতি ধরে রাখলেন। বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন SKM জয়ী। নামমাত্র বিরোধী হয়েই থাকছে SDF দল।