মন্দির বিতর্কের আঁচ পড়ল লাদাখেও

এবাই মন্দির বিতর্কের আঁচ পড়ল লাদাখেও। জানা গিয়েছে, কার্গিলের একটি মন্দির নির্মাণের তীব্র বিরোধিতা করছেন স্থানীয়রা। কিন্তু, এখন মন্দির নির্মাণের সমর্থনে দাবিও গতি পেতে শুরু…

এবাই মন্দির বিতর্কের আঁচ পড়ল লাদাখেও। জানা গিয়েছে, কার্গিলের একটি মন্দির নির্মাণের তীব্র বিরোধিতা করছেন স্থানীয়রা। কিন্তু, এখন মন্দির নির্মাণের সমর্থনে দাবিও গতি পেতে শুরু করেছে, যা রাজ্যের জন্য পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে আধিপত্য বিস্তার করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই মামলাটি একটি বৌদ্ধ মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রাচীন কার্গিলের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায় যেখানে একটি মন্দির তৈরি করতে চায় সেই জায়গাটি তারা ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে আসছে। সেখানে একটি গেস্ট হাউস রয়েছে, যা বিশেষ করে বৌদ্ধদের জন্য। কিন্তু এখন সেখানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিতে চাইছেন না স্থানীয়রা। দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবি রয়েছে, তবে বিবাদ আরও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া এবং এখানে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল কার্যকর করার দাবিতে গঠিত লেহ অ্যাপেক্স বডি (ল্যাব) এবং কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) আগামী ২৬ মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছে। মূলত বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরেও এই দাবিগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই আন্দোলনকে দিশা দিতেই এই বৈঠক হচ্ছে। তবে, এই বৈঠকের আলোচ্যসূচিটি এই ইস্যুতে আধিপত্য বিস্তারের সম্ভাবনা বেশি, যা সম্পূর্ণরূপে একটি স্থানীয় এবং ধর্মীয় বিষয়।

উল্লেখ্য, কার্গিলে মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম এবং বৌদ্ধরা সংখ্যালঘু। যারা মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করছেন তারা ১৯৬৯ সালের একটি সরকারী বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিচ্ছেন।