Taslima Nasrin: দুই বাংলার বাঙালিদের নির্লজ্জ এবং লোভী বলে কটাক্ষ তসলিমার

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙালি সমান। কারো মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। উভয় ক্ষেত্রেই বাঙালি নির্লজ্জ এবং লোভী। এমনই মনে করেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। (Taslima…

Taslima Nasrin attacks bengalis

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙালি সমান। কারো মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। উভয় ক্ষেত্রেই বাঙালি নির্লজ্জ এবং লোভী। এমনই মনে করেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। (Taslima Nasrin) দুই বাংলার বাঙালিদেরকেই একযোগে আক্রমণ করেছেন লজ্জার লেখিকা।

ভারতের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে অহিন্দু বাঙালিদের অনেকেই বাঙালি বলে মনে করে না। সেক্ষেত্রে পরিচয় বাঙালি এবং মুসলমান। উলটো দিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ উলটো। সেখানে বাঙালি এবং হিন্দু। ধর্মের এই বিভেদ থাকলেও বাঙালি হিসেবে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। যুক্তি দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন তসলিমা। যদিও পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের বাইরে যেমন- ত্রিপুরা, অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি বা অন্য দেশের বাঙালিদের বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।

শনিবার নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে তসলিমা লিখেছেন, “বাঙালির চরিত্র এক। হিন্দু-মুসলমান জাস্ট পলিটিক্যাল ব্যাপার। বিভেদ বাড়লেও চরিত্র বদলায় না। চরিত্র এক বলে পূর্ববঙ্গের বাঙালি হাসিনার গুণকীর্তন করে, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি মমতার গুণকীর্তন করে। একই কায়দায়, একই ভাষায়। শাসকদের তুষ্ট করতে বাঙালির বরাবরই অতি উৎসাহ। দুই বাংলার বাঙালি একই রকম নির্লজ্জ এবং একই রকম লোভী। যারা সৎ এবং সাহসী, তারা ঠিক বাঙালি হতে পারেনি, যে কোনও কারণেই হোক কিছুটা মানুষ হয়ে উঠেছে।”

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম হয়েছিল তসলিমা নাসরিনের। মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে নিজের জন্মভিটে ত্যাগ করতে হয় তাঁকে। পরে ভারতে এসে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। সেখান থেকেও একই কারণে বিতাড়িত হতে হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে সুইডেনের নাগরিকত্ব নিয়ে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে বসবাস করেন তসলিমা নাসরিন।