বিহারে রাতারাতি চুরি হয়ে গেল স্টিলের সেতু, এক্কেবারে ভ্যানিশ

১৯৭২ সালে বিহারের রোহতাস জেলার আমিয়াওয়া গ্রামে আরা-সোন খালের উপর একটি স্টিলের সেতু (bridge) তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিনের মধ্যেই রাতারাতি ৬০ ফুট দীর্ঘ ৫০০…

steel bridge in Bihar was stolen overnight

১৯৭২ সালে বিহারের রোহতাস জেলার আমিয়াওয়া গ্রামে আরা-সোন খালের উপর একটি স্টিলের সেতু (bridge) তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিনের মধ্যেই রাতারাতি ৬০ ফুট দীর্ঘ ৫০০ টন ওজনের ওই সেতুটি উধাও হয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে দুষ্কৃতীরা রীতিমতো গ্যাস কাটার ও জেসিবি মেশিন দিয়ে ওই সেতুটি ভেঙে লোপাট করে দিয়েছে। তাঁরা মনে করেছিলেন, সরকারি লোকজনই সেতুটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন সরকারের লোকজন নয়, দুষ্কৃতীরাই সেতুটি ভেঙে তুলে নিয়ে গিয়েছে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এই চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচ বিভাগের আধিকারিকদের মদতেই এই চুরি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই স্টিলের সেতুটির ঠিক পাশেই পাঁচ বছর আগে একটি কংক্রিটের সেতু তৈরি হয়েছে। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে ইস্পাতের সেতুটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা ইস্পাতের সেতুটির পরিবর্তে কংক্রিটের সেতুটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। ইস্পাতের সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পাঁচ বছর ধরেই ওই স্টিলের সেতুটি আস্তে আস্তে তুলে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু গত তিনদিন ধরে জেসিবি মেশিন ও গ্যাস কাটার ব্যবহার করে দিনরাত কাজ করে বেশ কিছু দুষ্কৃতী রাতারাতি সেতুটির পুরোটাই তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে।

গ্রামের অনেক প্রবীণ বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা জীবনে কখনও এ ধরনের চুরির কথা শোনেননি। ওই এলাকায় সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ কামাল শমশি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা এই সেতু চুরির ঘটনায় স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের বিবরণের ওপর ভিত্তি করে তাঁরা দুষ্কৃতীদের ছবি তৈরি করার কাজ চালছে। পাশাপাশি যারা লোহার ছাঁট মালের ব্যবসা করেন সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আস্ত সেতু চুরির ঘটনা সামনে আসতে নেটিজেনরা বিহারের নীতীশ কুমার সরকারের কড়া নিন্দা করেছে।