সুদের হার কমায় প্রবীণ নাগরিকরা জর্জরিত, সীতারামনকে চিঠি প্রিয়াঙ্কার

সম্প্রতি ব্যাংকের বিভিন্ন মেয়াদি জমায় সুদের হার ব্যাপক হারে কমানো হয়েছে। পোস্ট অফিস এবং পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডেও সুদের হার কমিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রবীণ নাগরিকদের…

priyanka chaturvedi

সম্প্রতি ব্যাংকের বিভিন্ন মেয়াদি জমায় সুদের হার ব্যাপক হারে কমানো হয়েছে। পোস্ট অফিস এবং পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডেও সুদের হার কমিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রবীণ নাগরিকদের সঞ্চয়ের উপরেও সুদের হার কমানো হয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যসভা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী (Priyanka Chaturvedi)।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে প্রিয়াঙ্কা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে সুদের হার কমানো হয়েছে সে বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কিন্তু বিভিন্ন মেয়াদি জমার ক্ষেত্রে সুদের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। পোস্ট অফিসেও জমা টাকার ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র ৭ শতাংশ। পিপিএফে সুদের হার সামান্য কিছুটা বেশি হলেও সেখানেও বছরে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। তাই পিপিএফ থেকেও বাড়তি সুদের আশা করা বৃথা। শুধু তাই নয়, পিপিএফ থেকে প্রাপ্ত আয় করযোগ্য।

প্রিয়াঙ্কা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, এভাবে সুদের হার কমিয়ে দেওয়ায় প্রবীণ নাগরিক বিশেষ করে যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তাঁরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। কারণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা জমাকৃত অর্থ থেকে যে সুদ পান তা দিয়েই সংসার প্রতিপালন করেন। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটাই বেড়েছে। বেড়েছে সংসার খরচ। পাল্লা দিয়ে কমেছে সুদের হার। কমেছে মানুষের আয়। তাই কিভাবে সংসার প্রতিপালন করবেন তা নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় তাঁরা।

আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রীকে এই সমস্যার সমাধানে কেন্দ্র সরকারকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি লিখেছেন সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি মানুষের আয় কমে গিয়েছে। বিশেষত যারা অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তাঁদের আয় উদ্বেগজনকভাবে কমেছে। চলতি করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের খরচ আরও বেড়েছে। সেক্ষেত্রে সঞ্চয়ের উপর সুদের হার কমানোয় মানুষের অসুবিধা আরও বেড়েছে। সরকারের কখনই উচিত নয়, তার আর্থিক সমস্যাকে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ঘাড়ে। এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ১৪ কোটি প্রবীণ নাগরিক আছেন। যাদের সুদের আয়েই সংসার চলে। অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে সরকার তাদের জন্য সুদের বিশেষ হার ঘোষণা করুক।

তিনি লিখেছেন, একই সঙ্গে পোস্ট অফিস এবং পিপিএফে সঞ্চয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নিক। সে ক্ষেত্রে মানুষ এই সমস্ত জায়গায় বিনিয়োগ করে কিছু বাড়তি অর্থ রোজগার করতে পারেন।