মেধার ভিত্তিতে চাকরির দাবিতে বাংলাদেশের বৃহত্তর পড়ুয়া আন্দোলনের পাশে ভারতের বাম ছাত্র সংগঠন (SFI) এসএফ়আই। CPIM এর ছাত্র সংগঠনটি তাদের বিবৃতিতে ‘রাষ্ট্রের নৃশংসতা’ উল্লেখ করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও CPIM এর মধ্যে ‘রাজনৈতিক সুসম্পর্ক’ উহ্য করল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় ছাত্র সংগঠন SFI
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা আছে। আদালতের রায়ে কোটা ব্যবস্থা বহাল। আর পড়ুয়াদের দাবি, কোটা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ বৃদ্ধি করুক সরকার। এই দাবিতে অনড় পড়ুয়াদের বিক্ষোভে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অচল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের জের বাংলাদেশের অন্যত্র তীব্র আকার নিয়েছে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়া বনাম সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের শাখা ছাত্র লীগের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি চালানোয় রক্তাক্ত পরিস্থিতি। একাধিক নিহত। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে রাষ্ট্রসংঘ উদ্বিগ্ন।
প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতকারীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবেন না। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের মাঝেই সংঘর্ষ চলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোটা বিরোধী পড়ুয়াদের তরফে ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুড়ে “শাটডাউন” কর্মসূচি পালন হবে। অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশেই বনধ। জরুরি পরিষেবায় থাকছে ছাড়।
বাংলাদেশের পড়ুয়াদের রক্তাক্ত আন্দোলন সমর্থন করে SFI সর্বভারতীয় সভাপতি ভিপি সানু ও সাধারন সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে লেখা হয় “স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই) বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের নৃশংসতার তীব্র নিন্দা করে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি বর্বরতা মোকাবিলা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। আমরা আমাদের বাংলাদেশের ভাই-বোনদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী উত্তরাধিকারকে সমুন্নত রাখার জন্য অনুরোধ করছি।”