Seema Haider: পাকিস্তানে পাঠাবেন না…মোদীর কাছে আবেদন অনুপ্রবেশকারী সীমা হায়দরের

পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দার (Seema Haider) প্রেমিক সচিনের সাথে থাকার জন্য ভারতে লুকিয়ে ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে…

Seema Haider

পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দার (Seema Haider) প্রেমিক সচিনের সাথে থাকার জন্য ভারতে লুকিয়ে ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তাকে ফেরত না পাঠানো হয়। এবং বলেছেন তিনি গুপ্তচর নন।

সীমা তার ভারতীয় প্রেমিকের সাথে থাকার জন্য মে মাসে নেপাল থেকে ভারতে চলে আসেন। ভারতীয় প্রেমিকের সাথে তার আলাপ হয়েছিল অনলাইন পাবজি গেমের মাধ্যমে। ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ৪ জুলাই পাক নাগরিক সীমা হায়দরকে গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তার প্রেমিক সচিনকেও হেফাজতে নেওয়া হয়। তারা জামিন পেয়ে বর্তমানে নয়ডায় একসঙ্গে বসবাস করছেন।

India Today-কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে, সীমা হায়দর বলেছেন যে তিনি কোনও গুপ্তচর নন। সীমা বলেন, “পাকিস্তানে কেউ যদি জানতে পারত যে আমি ভারতে যাচ্ছি, তারা আমাকে মেরে ফেলত। আমি গুপ্তচর নই, শীঘ্রই প্রমাণিত হবে।”

সীমা পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না। তিনি বলেছেন, “আমি মোদীজি এবং যোগী জি কে অনুরোধ করছি আমাকে ফেরত না পাঠান”। সীমাকে উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সেই প্রসঙ্গে সীমা জানায়, “আমি অবৈধভাবে পাড়ি দিয়েছিলাম কারণ আমার কাছে কোনো বিকল্প পথ ছিল না। আমি পাকিস্তানে থাকতে চাইনি। আমি কোনও তথ্য গোপন করিনি।”

ভারতে আসার পর সীমার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বলেছিলেন, যখনই তিনি PUBG গেম খেলতেন, তিনি একটি ভিন্ন নামে তার আইডি তৈরি করেছিলে৷ যাতে তার পরিচয় গোপন ছিল এবং সেই নামটি ছিল মরিয়ম খান। কারণ সীমা দাবি করেছিলেন, তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে পাকিস্তানে এভাবে চিহ্নিত হওয়ার পরে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হতে পারে।

 

সীমা জানান, তার পরিচিত কয়েকজন তাকে তার আইডি মরিয়ম খান হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। UP ATS-এর জিজ্ঞাসাবাদে সীমা জানিয়েছেন, রাত ৯টার পর গভীর রাত পর্যন্ত PUBG গেম খেলতেন। এরপর একদিন পাবজি খেলার সময় সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে মরিয়ম খান নামের আইডি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন সচিন। এরপর দুজনে একসঙ্গে PUBG গেমে জুটি বেঁধেছিলেন এবং এরপর এই গেমটি খেলতে গিয়ে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় এবং এই বন্ধুত্ব কখন প্রেমে পরিণত হয়, তা দুজনেরই জানতে পারেনি।