Kisan Mahapanchayat: দাবি না মানলে ফের বৃহত্তর আন্দোলন, গর্জে উঠল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা

২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিন কৃষি আইন এনেছিল মোদী সরকার। যার প্রতিবাদে সারা দেশজুড়ে আন্দোলনে শামিল হয় (Kisan Mahapanchayat) একাধিক কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।

Kisan Mahapanchayat

২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিন কৃষি আইন এনেছিল মোদী সরকার। যার প্রতিবাদে সারা দেশজুড়ে আন্দোলনে শামিল হয় (Kisan Mahapanchayat) একাধিক কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। এক বছর ধরে আন্দোলন চলার পর চাপের মুখে নতি স্বীকার করে মোদী সরকার৷ তিন আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু কৃষকদের দেওয়া একাধিক প্রতিশ্রুতি এখনও বাকি রয়েছে। তাই ২ বছর পর আবারও গর্জে উঠল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।

সোমবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিরাট জমায়েত করা হয় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে। তাঁদের বক্তব্য কর্পোরেটদের হাতে কৃষি তুলে দেওয়ার বিপক্ষে তাঁরা। ফসলের নূন্যতম সহায়ক সুনিশ্চিতকরণ সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে সরকারকে। এই দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা৷ এদিন ১৫ জনের প্রতিনিধি দল কৃষি ভবনে গিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি জমা দেন।

সরকারের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, তাঁরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্ত দাবি দাওয়া এবং বকেয়া দাবি মানতে রাজি। অন্যদিকে কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, যদি তাঁদের দাবি সরকার পুরণ না করে, তাহলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় তিন কৃষি আইন। কেন্দ্র সরকারের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি অভিযানের ডাক দেন দেশের ২০০ এর বেশী কৃষক সংগঠন। কিন্তু দিল্লি প্রশাসনের তরফে আটকে দেওয়া হয় তাঁদেরকে। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় জলকামান। তবুও কৃষকদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারেনি সরকার। একটানা প্রায় ১২ মাস ধরে চলছে প্রতিবাদ। পরে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় সরকার৷ প্রেস কনফারেন্স করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, অনেক চেষ্টা করা হয়েছে এই তিনটি আইনের উপকারিতা বোঝানোর জন্য আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এখন ফের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কৃষকদের তরফে।