ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াল ‘রোমিও’

ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়িয়ে দুটি এমএইচ-৬০ ‘রোমিও’ মাল্টি-মিশন হেলিকপ্টার রয়েছে ভারতের কাছে। এগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি অনুযায়ী, মোট ২৪টি রোমিও হেলিকপ্টার ভারতীয়…

ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়িয়ে দুটি এমএইচ-৬০ ‘রোমিও’ মাল্টি-মিশন হেলিকপ্টার রয়েছে ভারতের কাছে। এগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি অনুযায়ী, মোট ২৪টি রোমিও হেলিকপ্টার ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা। এই হেলিকপ্টারগুলি আধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত এবং নির্ভুলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।

আমেরিকার সঙ্গে এই হেলিকপ্টারগুলির জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে ভারত। দুটি হেলিকপ্টার সরবরাহ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সমস্ত হেলিকপ্টার ভারতে পৌঁছে যাবে। অত্যাধুনিক মিশন সক্ষম প্ল্যাটফর্মগুলি অন্তর্ভুক্ত করার ফলে ভারতীয় নৌবাহিনীর অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে এই হেলিকপ্টারগুলির জন্য অপেক্ষা করছিল।

হেলিকপ্টারগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এমএইচ-৬০আর হেলিকপ্টারটি আবহাওয়া বান্ধব। তারা আধুনিক সেন্সর এবং অত্যাধুনিক এভিওনিক্স দিয়ে সজ্জিত করা হয় যাতে তারা একবারে একাধিক মিশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই হেলিকপ্টারগুলি যুদ্ধজাহাজ, ডেস্ট্রয়ার, ক্রুজার এবং বিমানবাহী রণতরী থেকে পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এমএইচ-৬০আর বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সামুদ্রিক হেলিকপ্টার বলে মনে করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, 300 টিরও বেশি এমএইচ -60 আর সি-চাউক হেলিকপ্টার 600,000 এরও বেশি উড়ন্ত ঘন্টার সাথে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে।

কোন কোন দেশের নৌবাহিনী ব্যবহার করছে?
এই হেলিকপ্টারটি বিশ্বের অনেক নৌবাহিনী ব্যবহার করছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী, রয়্যাল ডেনিশ নেভি, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভি এবং রয়্যাল সৌদি নেভি। আরও অনেক দেশ এই হেলিকপ্টারের জন্য আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এটি অনুসন্ধান অভিযান থেকে শুরু করে আক্রমণ পর্যন্ত যে কারও মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

‘রোমিও’ হেলিকপ্টারগুলিরও অ্যান্টি-সারফেস ক্ষমতা রয়েছে, যার অর্থ তারা পৃষ্ঠের হুমকি সনাক্ত করতে এবং শত্রু জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে। এই হেলিকপ্টারগুলি সাবমেরিনগুলি ট্র্যাকিং এবং সংযোগ স্থাপন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিক সহায়তা, কর্মী পরিবহন, চিকিৎসা নিষ্কাশন এবং নজরদারি সহ বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে।