দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধের পক্ষেই সওয়াল রিজার্ভ ব্যাংকের

নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করল রিজার্ভ ব্যাং ক (RBI) অফ ইন্ডিয়া। আর্থিক স্থিতাবস্থা আনার জন্যcই তাদের এই প্রস্তাব…

RBI

নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করল রিজার্ভ ব্যাং ক (RBI) অফ ইন্ডিয়া। আর্থিক স্থিতাবস্থা আনার জন্যcই তাদের এই প্রস্তাব বলে আরবিআই জানিয়েছে।

দুদিন আগে দেশের অর্থনীতি নিয়ে এক আলোচনায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গীতা গোপীনাথ বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা (digital currence) বন্ধ করা কার্যত অসম্ভব। তাই ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার বদলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

কিন্তু গোপীনাথের ওই বক্তব্যের দু’দিন পরেই আরবিআই সারা দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার সুপারিশ করল। কেন্দ্রীয় ব্যাং কের তরফে অর্থমন্ত্রককে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আর্থিক স্থিতাবস্থার জন্যরই দেশে এই ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা বন্ধের এই প্রস্তাব সরকারের মনোমতই হয়েছে। কিছুদিন আগে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (shaktikant das) বলেছিলেন, গোটা দুনিয়াতেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ভারতের পক্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্যপতম মাথাব্যনথার বিষয় হতে পারে। কারণ, ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্যক ম্যাকক্রোইকনমির উপর বড় রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সূত্রের খবর, আরবিআইয়ের জরুরি বৈঠকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে দুটি মতামত উঠে আসে। ওই বৈঠকে বোর্ডের বেশ কিছু সদস্যয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে চলারই পক্ষেই মত দেন। এক্ষেত্রে তাঁদের বক্তব্যি ছিল, সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে অর্থনীতিতেও তথ্যএপ্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অপর কিছু সদস্য জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিময়ের মাধ্য ম বিদেশি মুদ্রা। নিজের পরিচয় প্রকাশ না করেও ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব। তাই দেশের বর্তমান পরিকাঠামোয় ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর সম্পূর্ণ নজরদারি চালানো কার্যত অসম্ভব। এর আগে ২০১৮ সালেও একবার ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার পথে হেঁটেছিল আরবিআই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

আরবিআইয়ের দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে, নিজেদের অবস্থান থেকে গত তিন বছরেও সরে আসেনি কেন্দ্রীয় ব্যা ঙ্ক। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যা ঙ্কের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে রিজার্ভ ব্যাং কের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা ও বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা হয়। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক নীতি নির্ধারক বিশেষ বিল আনার কথা ছিল। তবে সেই বিল আসবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ওই বিশেষ বিল আনার আগে আরবিআইয়ের এই মতামত নিশ্চিতভাবেই আলাদা মাত্রা যোগ করল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কয়েকদিন আগে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীই নেবেন। এ বিষয়ে মোদি আর্থিক বিশেষজ্ঞদের কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন বলে খবর।