Rahul Gandhi: জওয়ান-জনতা কেউই আর মোদী সরকারের আমলে দেশের মাটিতেও নিরাপদ নন

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান (Army) হোক বা দেশের সাধারণ নাগরিক (Common People) কেউই আর নিজের দেশের মাটিতেও নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। সব দেখেও…

Rahul Gandhi slams Modi govt over Nagaland civilians' deaths

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান (Army) হোক বা দেশের সাধারণ নাগরিক (Common People) কেউই আর নিজের দেশের মাটিতেও নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। সব দেখেও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে। কোনও সভ্য দেশের (Civilized Government) সরকার যে এভাবে পথ চলতে পারে তার নরেন্দ্র মোদী সরকারকে না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না। নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।

নাগাল্যান্ডের ঘটনা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। শনিবারের এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক জওয়ান আছেন। আহতদের মধ্যে যেমন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আছেন, তেমনই আছেন একাধিক জওয়ান।

   

এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে রাহুল টুইট করেন, নাগাল্যান্ডের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল মোদী সরকারকে তার জবাব দিতে হবে। কী করছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কেউই আর দেশের মাটিতে নিরাপদ নয়।

রাহুল ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি তুলেছেন মমতা। অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই ঘটনার পিছনে প্রকৃত সত্যটা কী তার সামনে আনার দাবিও জানিয়েছেন গগৈ।

অন্যদিকে নাগাল্যান্ডের ঘটনায় শোক জ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শাহ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত চালাবে। মৃতদের পরিবার অবশ্যই উপযুক্ত বিচার পাবে।

জানা গিয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই নাগাল্যান্ড- মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চলছিল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় সেনা। সেই অভিযানেই সীমান্ত সংলগ্ন তিরু গ্রামে সেনাবাহিনী সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে গুলি চালালে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ১২ জন গ্রামবাসী একজন জওয়ান। জখম হয়েছেন বহু মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি মিনিট্রাকে করে গ্রামবাসীরা ওটিং গ্রাম থেকে খনির কাজ করে ফিরছিলেন। সে সময় রাতের অন্ধকারে জঙ্গি সন্দেহে ওই মিনিট্রাকটি লক্ষ্য করেই গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।

গতকালের এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও ভুল স্বীকার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার রাতের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই অভিযান হয়েছিল। কিভাবে এটা ঘটল তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। শনিবার রাতের ঘটনায় বেশ কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন বলে সেনাবাহিনীর দাবি।