Bhupesh Baghel: টাকার বিনিময়ে মোদি-শাহ’র হয়ে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর

News Desk: কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কড়া সমালোচনা করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) কংগ্রেসকে…

Chhattisgarh Chief Minister Bhupesh Baghel

News Desk: কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কড়া সমালোচনা করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোট গঠনের জন্য ময়দানে নেমেছেন। এদিন এই দু’টি ঘটনাকে এক জায়গায় নিয়ে এসে প্রশান্ত ও মমতাকে অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক তথা ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel )।

ভূপেশ স্পষ্ট বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজেপি যাতে ক্ষমতায় ফিরতে পারে সেজন্য নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর নির্দেশমতো কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। আসলে উনি তো কোন রাজনৈতিক দলের লোক নন। উনি একজন পেশাদার মানুষ। টাকা নিয়ে কাজ করেন। কয়েক বছর আগে মোদি -অমিত শাহ কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু চেষ্টা করেও তাঁরা সেটা করতে পারেননি। সেই কাজ যাতে করতে পারেন তার জন্যই এবার দায়িত্ব দিয়েছেন প্রশান্তকে। তিনি কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রশান্ত এবং মমতা দু’জনেরই লক্ষ্য হল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। বিজেপিকে সাহায্য করতেই তাঁরা মাঠে নেমেছেন।

মমতাকে আক্রমণ করে ভূপেশ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তিনি বিজেপির সঙ্গে লড়তে চান নাকি, বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সেটা স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন না কেন? দেখে শুনে তো মনে হচ্ছে, রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী ভোট ভাগ করে দিয়ে উনি বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরার পথ মসৃণ করে দিতে চাইছেন। দু’দিন আগে দিল্লি গিয়ে মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন। তার পরেই তিনি আক্রমণ করলেন কংগ্রেসকে। মোদির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে কেন সেটা প্রকাশ করছেন না।

মমতাকে এটা বুঝতে হবে যে, কংগ্রেসকে ছাড়া কখনও কোনও বিরোধী জোট গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাঁর মনে রাখা উচিত, জাতীয় পর্যায়ে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কখনওই কোনও জোট হতে পারে না। কেন না এখনও গোটা দেশে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হল কংগ্রেস।

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী এদিন এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের মুখে কে হবেন সেটা ইউপিএ’র বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সোনিয়া গান্ধীই ঠিক করবেন। মমতাকে ঠিক করতে হবে তিনি বিরোধীদের সঙ্গে লড়তে চান নাকি, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে চান। মমতার কাজকর্ম দেখে শুনে তো মনে হচ্ছে, উনি বিজেপিকে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে চান। আর তাঁর এই কাজের সহযোগী হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

তৃণমূল কংগ্রেসের এটা বোঝা উচিত, গোয়ায় তাদের কিছু করার ক্ষমতাই নেই। এতদিন তো ত্রিপুরা নিয়ে অনেক কথা বলছিলেন। কিন্তু ত্রিপুরার নির্বাচনী ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে, তৃণমূল মুখে যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন আসলে তাদের শক্তি কতটা। আগামী নির্বাচনে গোয়াতেও একই অবস্থা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের। মাঝখান থেকে তারা কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরার পথে কুসুম বিছানো করে দেবেন। গোয়ায় কোনও শক্তিই নেই, তবুও তারা হই হট্টগোল করছেন। এর পিছনে কী কারণ আছে সেটা কারও বুঝতে বাকি নেই। মোদি-শাহর থেকে টাকা নিয়ে বিরোধী ভোট কিভাবে ভাগ করে দেওয়া যায় সেই পথ বাতলে দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্তর বলে দেওয়া পথেই এগিয়ে চলেছেন মমতা।

সবকিছু দেখেশুনে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে মোদি ইতিমধ্যেই ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত এবং মমতাকে। তাঁরা হাত ধরাধরি করে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন।