Parliament Winter Session: বিরোধীদের বাধায় রাজ্যসভায় এখনও পর্যন্ত ৫২ শতাংশ সময় জলে গিয়েছে

News Desk:  দেশের গণতন্ত্রের মন্দির হল সংসদ ভবন (Parliament)। সংসদ ভবনের প্রতিটি অধিবেশন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সংসদের অধিবেশন চালাতে সরকারের কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু কোটি…

Rajyasabha lost amid opposition protest

News Desk:  দেশের গণতন্ত্রের মন্দির হল সংসদ ভবন (Parliament)। সংসদ ভবনের প্রতিটি অধিবেশন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সংসদের অধিবেশন চালাতে সরকারের কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংসদ চালাতে গিয়ে যদি কোনও কাজ না হয় তাহলে এই বিপুল অর্থ অপচয়ের (Misuse) কী যুক্তি থাকতে পারে!

২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Season)। শুক্রবার পর্যন্ত এই অধিবেশনে রাজ্যসভায় (Rajya Shabha) মোট কাজের ৫২ শতাংশের বেশি সময় নষ্ট হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সময় নষ্ট হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মূলত বিরোধীদের হই হট্টগোল, চিৎকার চেঁচামেচির কারণেই এই সময় নষ্ট হয়েছে। তবে আশার কথা, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের আশা, সংসদের বাকি কাজের দিনগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্মে হবে।

   

শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলের ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে ছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নায়ডু। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই বিরোধীরা অধিবেশন চালাতে প্রবল বাধা দিয়েছে।

রাজ্যসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত সময়ের ৫২ শতাংশ সময় কোনও কাজ হতে পারেনি। তবে বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ওই দিন নির্ধারিত সময়ের থেকে রাজ্যসভা ৩৩ মিনিট বেশি চলেছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশন আধঘন্টা বেশি চলায় ওই সপ্তাহে রাজ্যসভার মোট কাজের সময়ের ৪৭.৭০ শতাংশ সময় কাজ হয়েছে। রাজ্যসভার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার মোট কাজের ৯৫ শতাংশ এবং শুক্রবার ১০০ শতাংশ সময় কাজ হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদী সরকার অবশ্য সংসদ অচল থাকার দায় বিরোধীদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীদের বাধা দানের ফলেই সংসদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকা জলে গিয়েছে। এই টাকা সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই সরকার রাজস্ব হিসেবে সংগ্রহ করে। তাই বিরোধী দলের সাংসদদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, সরকার পক্ষ তাঁদের সংসদে কোনও কথাই বলতে দেয় না। সরকারপক্ষ তাঁদের কথা বলতে না দিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রতিবাদস্বরূপ তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করতে বাধ্য হন। তাঁদের এই আচরণের জন্য সরকারই দায়ী।