Pataliputra Politics: ‘ও মাঝি রে…’ নীতীশ পালাচ্ছেন বুঝেই জীতনরামকে ডাকলেন রাহুল

‘ও মাঝি রে..আব কি বার, লে চল পার’! এরকমই পরিস্থিতি বিহারে। কে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাঝি? কিংবদন্তি গায়ক শচীনদেব বর্মণের কণ্ঠে বন্দিনী (১৯৬৩) ছবির গানটি সাম্প্রতিক…

‘ও মাঝি রে..আব কি বার, লে চল পার’! এরকমই পরিস্থিতি বিহারে। কে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাঝি? কিংবদন্তি গায়ক শচীনদেব বর্মণের কণ্ঠে বন্দিনী (১৯৬৩) ছবির গানটি সাম্প্রতিক বিহারের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে মানানসই। জীতনরাম মাঞ্ঝি- প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দ্বারস্থ কংগ্রেস। তাঁর ‘হাম’ পার্টিকে INDIA জোটে সামিল হতে অনুরোধ করলেন রাহুল গান্ধী।

২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১২২ জন বিধায়ক। বিজেপির ৭৮ জন ও নীতীশের দল জেডিইউর ৪৫ জনে নতুন করে জোট হলে হয় ১২৩ জন। এই সংখ্যা নিয়ে ফের বিহারে NDA জোটের সরকার সম্ভব। জানা যাচ্ছে, নীতীশ কুমার মনস্থির করে নিয়েছেন।

গত বিধানসভা ভোটে বিহারে বিজেপি নীতীশের জোট সরকার তৈরি হয়েছিল। বিরোধী আসনে ছিল আরজেডি, কংগ্রেস ও বাম শিবিরের মহাজোট। পরে নীতীশ সেই জোটে ঢুকে পড়েন। মহাজোট সরকার গড়ে। আবার নীতীশ এনডিএতে সামিল হতে চলেছেন। লোকসভা ভোটের আগে বিহারে সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি। ফলে অবিশ্বাসী হলেও নীতীশ কুমারকেই ফের টেনে এনেছে এনডিএ শিবির। বারবার জোট বদলের জন্য নীতীশ কুমারের নামের পাশে ‘জোটবদলু’ তকমা লেগে আছে। তিনি ফের জোট বদলের পথেই।

নীতীশ ও বিজেপির জোট ধরে নিয়েই বিহারে অবিজেপি শক্তির অঙ্ক কষা চলছে। সেখানেই তৈরি হচ্ছে নতুন জোট সমীকরণ। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে ন্যায় যাত্রা সাময়িক স্থগিত করে বিহারে অ-বিজেপি মহাজোট সরকারের পতন রুখতে আদা-জল খেয়ে নেমেছেন। তিনি ফোন করেছেন জীতনরাম মাঞ্ঝিকে। তবে কংগেসের একাধিক বিধায়ক এনডিএ শিবিরে যাচ্ছেন। বিধানসভায় আরজেডি ৭৯, কংগ্রেসের ১৯, বাম মোর্চা ১৬ জন। এই জোটে একমাত্র বাম বিধায়করা অনড়। আরজেডিতেও অপারেশন লোটাস ভীতি ছড়িয়েছে। আরজেডির বিশেষ বৈঠকে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে ফের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবকে।

বিধানসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জীতনরাম মাঞ্ঝির ‘হাম’ দলে আছেন ৪ বিধায়ক। তাদের টানতে মরিয়া মহাজোট শিবির। নির্দল ও মিম পার্টির দুই বিধায়কে মহাজোটে আনার চেষ্টা চলছে।