আজ কী হবে? শুভেন্দু প্রমাণ দেবেন নাকি মমতা ইস্তফা

সিঙ্গুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  দলের সর্বভারতীয় তকমা হারানোর পরেই অমিত শাহের কাছে চারবার ফোন…

Suvendu Adhikari and Mamata Banerjee at a political rally

সিঙ্গুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  দলের সর্বভারতীয় তকমা হারানোর পরেই অমিত শাহের কাছে চারবার ফোন করে পায়ে ধরেছিলেন৷ তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেবেন। এদিকে ফের তথ্য ও প্রমাণ তুলে ধরে আজই সমস্ত সত্য উদঘাটনের বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু৷

আজ কী হবে? শুভেন্দু প্রমাণ দেবেন নাকি মমতা ইস্তফা দাখিল করবেন?

   

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেম্দু বলেছেন তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছে। ফোনে পা ধরেছে বলেছে আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা কি ২৪ অবধি রাখা যাবে না? আর অমিত জি বলেছে। না রাখা যাবে না। আপনি তো ভোট পাননি। আমাদের নির্বাচন কমিশন আপনার সৌরভ দাসের মতো নয়। নিয়মে চলে, আপনি নিয়মের বাইরে গেছেন। তাই আপনি এখন সর্বভারতীয় নয়। পশ্চিম বাংলার অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

এরপরেই মমতার বার্তা, ষোল আনার উপর আঠারো আনা মিথ্যে কথা। মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে এই সব মিথ্যা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে বলেন, এই মিথ্যা ছড়ানোর জন্য কারও বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা হবে না। আর যত দূর আমার প্রশ্ন, আমি ফোন করেছি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

এখানেই বিতর্কের অবসান হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে দেবে। সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন শুভেন্দু। তাই ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ল্যান্ড লাইন থেকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন হল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা ফোনে এত নিখুঁত তথ্য শুভেন্দু পেলেন কীভাবে? পাশাপাশি প্রশ্ন জাগছে শুভেন্দু কী আরও তথ্য আজ প্রকাশ্যে আনবেন? তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী পদে আজই শেষ দিন হবে মমতার?

যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে মোটেই চুপ করে বসে নেই তৃণমূল। শুভেন্দু ক্ষমা না চাইলে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হুঁশিয়ারি তৃণমূলের৷ শুভেন্দু যদি আজ অমিত শাহের সঙ্গে কথাবার্তা ফাঁস করে, তাহলে তৃণমূলের তরফে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে? এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে।