Suvendu Adhikari: ভোটের আগে মমতা-অভিষেকের নতুন নাম দিলেন শুভেন্দু!

ভোটের আগে মমতা-অভিষেকের নতুন নাম দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)! ময়নাগুড়িতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্য সরকার মিথ্যাচার করেছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যে…

mamata and suvendu

ভোটের আগে মমতা-অভিষেকের নতুন নাম দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)! ময়নাগুড়িতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্য সরকার মিথ্যাচার করেছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা লেখেন, পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত মিথ্যাবাদী জুটি, যার একজন অভ্যাসবশত মিথ্যাবাদী এবং অন্যজন জন্মগত মিথ্যাবাদী। নাম না করে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

ময়নাগুড়িতে কয়েক সপ্তাহ আগে বিধ্বংসী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রচুর মানুষ ঘর-বাড়ি হারান। অনেকেই বাধ্য হয়ে রাস্তায় সংসার পাতেন। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, দেশজুড়ে নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালেও কমিশন তাতে আমল দেয়নি। ক্ষতিপূরণ বণ্টনে অনুমতির বিষয়টি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলেমি করছে কমিশন। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ১২-১৩ এপ্রিলের জনসভায় এই অভিযোগ তোলেন মমতা-অভিষেক।

এরই প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, নির্বাচন কমিশন ৯ এপ্রিল রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়ে দেয়। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করার জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন।

এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, ‘জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো, যারা ঘর বাড়ি সহ তাদের শেষ সহায় সম্বলটুকুও প্রকৃতির রোষে হারিয়েছেন তারা যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান পান, তার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরণ এবং বাড়ি তৈরির আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আদর্শ আচরণ বিধির আওতার বাইরে রেখে অনুমোদনটি মঞ্জুর করেছেন। শুধু তাই নয় ওই দিনই অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ২০২৪ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়।’

একই পোস্টে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘তাই অনেক আগেই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর বাড়ি নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দিয়ে দেওয়াই যেতো, কিন্তু পিসি এবং তার গুণধর ভাইপো কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্র সরকারের নামে মিথ্যাচার করতেই ব্যস্ত। আসলে তাদের উদ্দেশ্য অন্য, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়িয়ে ভোটের বাজারে নিজেদের লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে নিতে চান। সহায় সম্বলহীন, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের এই দুর্দশা এবং কষ্টদায়ক পরিস্থিতির তাদের কাছে কোনও মূল্য নেই।’

শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত মিথ্যাবাদী জুটি যার একজন অভ্যাসবশত মিথ্যাবাদী এবং অন্যজন জন্মগত মিথ্যাবাদী, দু’জনেই ভাবেন যে তারা মিথ্যার বেসাতি করে যাবেন আর পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তাদের সেই মিথ্যাচার কে ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেবেন। কি ভাবেন আপনারা? পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বোকা? আপনারা হয়তো কিছু মানুষকে মিথ্যা বলে সব সময় বোকা বানাতে পারেন তারা আপনার মিথ্যাচারে বিশ্বাস করতে পারেন, আবার রাজ্যের সব মানুষকেও কিছু সময়ের জন্য মিথ্যাচার করে বোকা বানানোর চেষ্টা করতেই পারেন। সাধারণ মানুষ হয়তো সাময়িক ভাবে আপনাকে বিশ্বাস করে বোকা বনবেন। কিন্তু, মনে রাখবেন এই পন্থা সবসময় কার্যকর হবে না। মানুষ একসময় আসল সত্যিটা ধরে ফেলবেন।’