Sreelekha Mitra :বিজেপি ক্ষমতায় এলে নারী সমাজ আবার কয়েক যুগ পিছিয়ে যাবে: শ্রীলেখা মিত্র

আদিত্য ঘোষ, কলকাতা: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Elections 2024) একেবারে দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। হাতে গুনে আর কয়েকটা দিন, তারপরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা ভোট ২০২৪-এর…

Sreelekha Mitra

আদিত্য ঘোষ, কলকাতা: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Elections 2024) একেবারে দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। হাতে গুনে আর কয়েকটা দিন, তারপরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা ভোট ২০২৪-এর প্রথম দফার ভোট। রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি তুঙ্গে। কেউ কাউকেই একচুল জায়গা ছাড়তে নারাজ। আর এই পরিস্থিতিতে কি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলও বেশ উত্তাপে ফুটছে? কী বলছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির মুখেরা ? সেই খোঁজ নিল Kolkata 24×7।

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র Kolkata 24×7-কে জানালেন, “লোকসভা ভোট নিয়ে আমি আর কী বলব? ভোট ভোটের মতোই হবে। আমার আবার কী বক্তব্য?” যদিও নিজে বলেই একটু থমালেন। আবার বললেন, “ভোটের হাওয়া যেদিকে সেইদিকে যদি সব ঠিক থাকে তাহলে তো মেয়েরা আবার কয়েকযুগ পিছিয়ে যাবে। তাঁদের ওই গৃহবন্দি করে রাখা হবে। কী খাবো, কী পড়ব, কী দেখব সবটাই তারা ঠিক করে দেবে।”

জিজ্ঞাসা করলাম, ” তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে বলছেন ?” তিনি জানালেন, “আমি কিছুই বলছি না। আর আমার চাওয়া পাওয়াতে তো কিছু এসে যায় না।” আবার তিনি নিজের থেকে বললেন, “ওরা চাইলে সংবিধানও বদলে ফেলতে পারে। ওরা চাইলে সবই পারে।” প্রশ্ন করলাম, ” এইবার কি ভোটের প্রচারে আপনি থাকছেন ?” তিনি বললেন, “নিশ্চয়। আজকেই তো দিপ্সিতার ওখানে প্রচারে যাওয়ার কথা আছে।” “রাজনৈতিক মতাদর্শ অন্য অথচ সিনেমার কাজে এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে?” তিনি ভেবে বললেন, “আসলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে তো সব ধান্দাবাজে ভর্তি। শুধু ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে কেন, এর বাইরেও ভর্তি। তবে আমি ধান্দাবাজের দলে নই।  আমার মতাদর্শগত সমস্যা হবে। কাজ করতে পারব না।”

তিনি জানালেন, “আমাদের পথকুকুরদের কেউই গলা ফাটায় না। কেউই আমাদের জন্য রাস্তায় হাঁটে না। কোনও নেতামন্ত্রীর দেখা পাই না।” একটু থেমে তিনি বললেন, “আমি যদি কোনওদিন আমার হাতে ক্ষমতা থাকে  তাহলে ওদের জন্য নিশ্চয় করব। ওটাই আমার কাজ হবে।” জিজ্ঞাসা করলাম, “এইবার সিপিএম কেমন ফল করবে বলে মনে হয়?” তিনি বললেন ,” সেটা মানুষ ঠিক করবে। আমি একজন আশাবাদী। আমি চাইব সংসদে মানুষের হয়ে কথা বলার একজনকে চাইব।”

আবারও প্রশ্ন করলাম, “আপনারা যারা একটু প্রতিবাদী মুখ, তাঁদের নিয়ে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষ হয়। চরিত্র নিয়ে আলোচনা হয়!” তিনি আমাকে থামিয়ে বললেন, “আমি ছাড়া আর কার কথা বলেছেন?” তারপর নিজেই হাসতে হাসতে বললেন,” আপনি যার কথা তুললেন, সে কি আমার সমকক্ষ?” তারপর আবার হাসির শব্দ পাওয়া গেল।