Opposition Unity: জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিল UPA, সেই নামে মমতার প্রবল আপত্তি

জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিল UPA জোট। সেই জোট নামেই আপত্তি অ-বিজেপি জোট গঠনের অন্যতম দুই দল তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির। দুটি দলই…

জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিল UPA জোট। সেই জোট নামেই আপত্তি অ-বিজেপি জোট গঠনের অন্যতম দুই দল তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির। দুটি দলই সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট অর্থাৎ ইউপিএ নাম আর না রাখার জন্য বার্তা পাঠিয়েছে। বেঙ্গালুরু বৈঠকে জোটের নাম পাল্টাতে দুটি দলই অনড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই দুই মুখ্যমন্ত্রী চান লোকসভা ভোটে অ-বিজেপি জোটের নাম পাল্টানো হোক। নতুন নামে জোট লড়াই করুক। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যক্তি নির্ভর এই দুটি দল দুই শীর্ষ নেতার নির্দেশে টিএমসি ও আপ তাদের অবস্থান ঠিক করে নিয়েছে।

১৯৯৬ সালে অ-বিজেপি জোট সরকার গড়ার ঠিক আগে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম শীর্ষ নেতা জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মননীত করেছিল। তবে নিজ দলের সমর্থন না থাকায় জ্যোতি বসু প্রধানমন্ত্রী হননি। তিনি দলীয় নির্দেশ মেনে নিয়েও এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ‘ঐতিহাসিক ভুল’ হয়ে গেল। পরে ইউপিএ নামটি অ-বিজেপি শক্তির জোট হিসেবে থেকে গেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বে চলা এই জোটের নাম বদলাতে বার্তা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক অবস্থানে তিনি জ্যোতি বসু ও সিপিআইএমের ঘোর বিরোধী।

পাটনার পর বেঙ্গালুরুতে অ-বিজেপি জোটের বৈঠক ঘিরে জাতীয় রাজনীতি সরগরম। India Today এক বিশেষ সূত্র উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের আগে ইউপিএ নাম পরিবর্তন হতে পারে। বৈঠকের সময় এটি পরিবর্তন করার বড় সম্ভাবনা। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) সহ বিজেপি-বিরোধী দলগুলির নতুন জোটকে আর ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) বলা হবে না৷ মেগা বিরোধী বৈঠকের সময় নতুন নামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই বৈঠকে ২০টিরও বেশি দল অংশ নেবে।

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ 2004 থেকে 2014 সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল। জোটের চেয়ারপার্সন ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এবার বিরোধী জোটের নতুন নাম নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেন, দল এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না এবং বৈঠকের সময় একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সমস্ত বিরোধী দল একসঙ্গে বসে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।

জানা যাচ্ছে প্রস্তাবিত বিজেপি-বিরোধী ব্লকের একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি থাকবে এবং বৈঠকে রাজ্য থেকে রাজ্যের ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের জন্য জোটের জন্য সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি এবং যোগাযোগের পয়েন্টের খসড়া তৈরির জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হবে।

বিরোধী দলগুলোর যৌথ প্রচারকর্মসূচি প্রণয়নের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করা হবে, যার মধ্যে সমাবেশ, সম্মেলন এবং আন্দোলনের বিষয় রয়েছে। বৈঠকে বিরোধী দলগুলি সম্ভবত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ইস্যুটি গ্রহণ করবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের পরামর্শ দেবে। প্রস্তাবিত জোটের জন্য একটি সাধারণ সচিবালয় স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে যে মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ভাষণ দিয়ে বৈঠক শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।